Tipra Motha Party: তিপ্রা মথা কি চাপে রাখছে বিজেপিকে? কোথায় এগিয়ে প্রদ্যোৎ দেববর্মনের দল?

Tripura: ২০২১ সালের ত্রিপুরার আদিবাসী কাউন্সিলের নির্বাচনে তিপ্রা মথা জয়ী হয়। সেখান থেকেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করে এই দল।

Tipra Motha Party: তিপ্রা মথা কি চাপে রাখছে বিজেপিকে? কোথায় এগিয়ে প্রদ্যোৎ দেববর্মনের দল?
প্রদ্যোত দেববর্মন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2023 | 12:43 PM

আগরতলা: ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা (Tripura Assembly Election) ভোট। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সরকার রয়েছে বিজেপির। যা আলাদা করে অক্সিজেন যোগাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তবে লড়াই কঠিন, বলছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও সেখানে এবার প্রার্থী দিয়েছে। বাংলার পর বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের নজরে। তবে এবারের নির্বাচনে ‘কিং মেকার’ হিসাবে বিভিন্ন মহলে উঠে আসছে তিপ্রা মথা পার্টির (TMP) নাম। যার সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মন (Pradyot Bikram Manikya Deb Barma)। তিপ্রা মথার একটাই দাবি, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড। আর সেই দাবিকে যারা মান্যতা দেবে তিপ্রা মথাও তাদেরই সমর্থন দেবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমো। মাত্র ২ বছর বয়স তিপ্রা মথার। এর আগে প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মন কংগ্রেসে ছিলেন। তবে দাবিদাওয়া নিয়ে মনোমালিন্যেই বেরিয়ে এসে নিজের দল তৈরি করেন তিনি। আর মাত্র দু’বছরেই রাজ্যবাসী এবং রাজ্য রাজনীতিতে স্বতন্ত্র্য প্রভাব ফেলেছে এই দল।

৬০টি আসন নিয়ে ত্রিপুরা বিধানসভা। সেখানে শাসকদল বিজেপির প্রার্থী দিয়েছে ৫৫টিতে। ২৮টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়ছে। ৪৬টি আসনে বামেরা প্রার্থী দিয়েছে, কংগ্রেসের প্রার্থী সংখ্যা ১৩। তিপ্রা মথার প্রার্থী সংখ্যা ৪২। সকলের নজর এই ৪২ প্রার্থীর দিকে।

রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মন। এক সময় ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি ছিলেন তিনি। এখন তাঁর সবকিছু তিপ্রা মথাই। তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতেই অনড় তারা। রাজ্যের আদিবাসীদের হয়েই মূলত প্রচারে সুর চড়াচ্ছে প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মনের দল। রাজ্যের জনসংখ্যার নিরিখে ত্রিপুরায় আদিবাসী ভোট ৩২ শতাংশ। বাম আমল থেকেই এ রাজ্যে আদিবাসীরা বঞ্চিত বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ইস্যুকে সামনে রেখে ভোটপ্রচারে ঝড় তুলছেন রাজ পরিবারের সদস্য।

২০২১ সালের ত্রিপুরার আদিবাসী কাউন্সিলের নির্বাচনে তিপ্রা মথা জয়ী হয়। সেখান থেকেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করে এই দল। সেই ফল শাসকদল বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রদ্যোত দেববর্মণ। কিন্তু সেই বৈঠক খুব একটা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহল।

কারণ, আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে কেন্দ্রের তরফে যদি রাজ্য ভাগের দাবি মেনে নেওয়া হয়, তারও আলাদা প্রভাব থাকবে। এদিকে প্রদ্যোত দেববর্মনের স্পষ্ট বক্তব্য, লিখিতভাবে তিপ্রাল্যান্ড তৈরির আশ্বাস না পেলে তাঁরা অন্য কোনও দলকে সমর্থন করবেন না।

প্রদ্যোৎ দেববর্মনের স্লোগান, ‘আমাদের জমি, আমাদের শাসন।’ যদিও তিপ্রা মথার এই আদিবাসীদের হয়ে সুর চড়ানো নিয়ে অন্য দলগুলি কানাঘুষো কথা বলে। রাজ্যের অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতি প্রদ্যোৎ মানিক্যের দৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে প্রদ্যোৎ মানিক্যের স্পষ্ট কথা, “এসব রাজনীতি। আমি উত্তর পূর্বে বড় হয়েছি, পড়াশোনা করেছি। আমি আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য লড়াই করছি। তার মানে এমন নয়, আমি অন্যদের বিরোধী।”