Smriti Irani on Akhilesh: ‘মানুষের সমর্থন নেই তাই, মমতার সমর্থন চাইতে হয়েছে’, অখিলেশকে কটাক্ষ স্মৃতি ইরানির
Smriti Irani: আজ ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখার পাশাপাশি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের কথা রয়েছে মমতা-অখিলেশের।
লখনউ: সমাজবাদী প্রধান অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সমর্থনে গতকালই লখনউ গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখার পাশাপাশি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের কথা রয়েছে মমতা-অখিলেশের। সোমবারই এই প্রসঙ্গে অখিলেশ যাদবকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে অখিলেশকে মমতার সমর্থন চাইতে হয়েছে বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জেওয়ারের গৌতম বুদ্ধ নগরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় স্মৃতি জানিয়েছেন, ‘নিজের ক্ষমতায় অখিলেশ জনতার সমর্থন পাচ্ছেন না’, তাই মমতার সমর্থন চাইতে হয়েছে।
বাংলায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ টি আসন জেতার দাবি করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের থেকেও বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছিল তৃণমূল। ক্ষমতায় ফিরে এই জাতীয় রাজনীতিকে ‘পাখির চোখ’ করেছিলেন মমতা। এই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে সোমবার উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। সোমবার মমতাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং অখিলেশ। আজ দুজনেরই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করার কথা।
মমতা ও পুলিশের যৌথ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন স্মৃতি। তাঁর দাবি, রাজ্যে অখিলেশের এমনই অবস্থা যে বাইরে থেকে লোক এনে রাজ্যের জনগণের কাছে তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে হচ্ছে। “আমি অখিলেশজিকে প্রশ্ন করতে চাই, এখন কি এমন হল যে আপনি এমন ব্যক্তিদের সমর্থন চাইছেন, যারা রাজ্যের গৌরবময় ইতিহাস কে ভুলে গিয়ে প্রকাশ্যে রাজ্যের বাসিন্দা তাদের অপমান করেছে? এখান থেকে স্পষ্ট অখিলেশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই।” ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের অমেঠি থেকে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন স্মৃতি। সভা থেকে তিনি জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে তিনি গর্বিত। কারণ নিজেদের সুসংস্কৃতির জন্য উত্তর প্রদেশ সারা দেশে বিখ্যাত এবং দেশের রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের ভূমিকা বরাবরই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, এবারের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতেও যোগী রাজ্যের ভোট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে । ভারতের রাজনীতিতে একটি কথা প্রচলিত আছে, “দিল্লি রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়ে যায়।” কারণ উত্তর প্রদেশে ৮০ টি লোকসভা আসন রয়েছে, যা জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তর প্রদেশ থেকে নির্বাচিত সাংসদ। এবারের নির্বাচনে বিজেপি যদি রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে দল। পূর্ব বিধানসভা নির্বাচনের ফল খারাপ হলে, তার দায় সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর ওপর পড়তে পারে, কারণ একে মোদী রাজ্যের সাংসদ অন্যদিকে ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে একাধিকবার তিনি রাজ্যে এসে উন্নয়ন মূলক প্রকল্প উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশের জনতা বিজেপির ওপর পুনরায় আস্থা রাখে কিনা, তার উত্তর মিলবে আগামী ১০ মার্চ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা