‘দিদিকে একবার সরিয়ে দিন, তারপর..’, আদিবাসীদের জন্য গুচ্ছ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি শাহের

জল থেকে হাসপাতাল, জঙ্গলমহলে একের পর এক প্রতিশ্রুতির ঝড় তুললেন অমিত শাহ (Amit Shah)।

'দিদিকে একবার সরিয়ে দিন, তারপর..', আদিবাসীদের জন্য গুচ্ছ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি শাহের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2021 | 5:41 PM

ঝাড়গ্রাম: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে সরাতে হবে, তাহলেই হবে উন্নয়ন। এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই শেষবেলার প্রচারে পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের সভায় হাজির হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জল থেকে স্কুল কিংবা হাসপাতাল, সব ক্ষেত্রে বিকাশের আশ্বাস দিলেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে রাজ্যে কোনও উন্নয়নই হয়নি। নিছকই সুবিধা ভোগ করেছে এক দল মানুষ। এ দিনের প্রচার সভা থেকে বার বার একথাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন তিনি। তাঁর দাবি উন্নয়ন নয়, শুধুই ‘ভাইপো’র কথাই ভেবেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করাই মমতার আসল লক্ষ্য।’ কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এলে উন্নয়নেই জোর দেবে বলে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘আদিবাসীদের কল্যাণ না ভাইপোর কল্যাণ, কোনটা চান আপনারা?’

এর আগে পুরুলিয়া এসে জলের সমস্যা মেটানোর কথা বলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার অমিত শাহও সে কথাই উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দিদিকে সরান। মোদীকে আনুন। পাঁচ বছরের মধ্যে জলের সমস্যা সমাধান করে দেবে বিজেপি।’ জঙ্গলমহলের মানুষের সুবিধার্থে এইমস তৈরি করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য আর কলকাতায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’ পাশাপাশি কমিটি গঠন করে আদিবাসী কল্যাণের কথাও বলেন তিনি। জানান, প্রত্য়েক ঘরে যাতে এক জন করে অন্তত চাকরি পায় তার জন্য তৈরি হবে কমিটি। আদিবাসীদের নিজেদের ভাষায় স্কুল গঠন, চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের আশ্বাসও শোনা যায় অমিত শাহের গলায়।

আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে বাধা দিলেই ক্ষমতায় আসে বিজেপি, হুঁশিয়ারি যোগীর

এ দিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে অনুপ্রবেশকারী ইস্যু। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করতে দেবেন না। যাতে আদিবাসীদের কাজে বাইরের কেউ ভাগ বসাতে না পারেন।

তবে মমতার খেলা হবে স্লোগানে যো বিজেপি ভয় পাচ্ছে না, সেটা বুঝিয়ে দেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, খেলা হবে বলে ভয় দেখাচ্ছেন দিদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘দিদি আপনার খেলাকে কেউ ভয় পায় না। বাংলার ছোট ছোট ছেলেরাও ফুটবল খেলে।’