‘লাথির’ পর কি তবে ‘দুধ কলা’? মমতার মঞ্চে ‘তাজা ছেলে’ আরাবুল

নেত্রী (Mamata Banerjee) তখনও আসেননি। 'কান্না ভুলে' তার আগেই সভামঞ্চে (West Bengal Assembly Election 2021) উপস্থিত 'অভিমানী' আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)।

'লাথির' পর কি তবে 'দুধ কলা'? মমতার মঞ্চে 'তাজা ছেলে' আরাবুল
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 05, 2021 | 2:30 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নেত্রী (Mamata Banerjee) তখনও আসেননি। ‘কান্না ভুলে’ তার আগেই সভামঞ্চে (West Bengal Assembly Election 2021) উপস্থিত ‘অভিমানী’ আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। অভিমানের পালা কাটিয়ে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত ভাঙড়ের ‘ভূমিপুত্র’ আরাবুল ইসলাম। নির্বাচনে প্রচারে সোমবার ভাঙড়ে সভা রয়েছে নেত্রীর আর তাঁর সভায় আরাবুলের উপস্থিতি নজর এড়ায়নি বিশ্লেষকদের।

কিছুদিন আগেই বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আরাবুল ইসলাম। ভূমিপুত্রের দাবিকে আমল না দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকিট দিয়েছেন ‘বহিরাগত’ চিকিৎসক রেজাউল করিমকে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ফুঁসছিলেন আরাবুল। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন আরাবুল। সাংবাদিকদের সামনে কাঁদতে থাকেন হাউ হাউ করে। প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘দলে আমার প্রয়োজন শেষ’। আরাবুলকে প্রার্থী করার দাবিতে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকে বিক্ষোভ। এরপর আরাবুলের রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।

মিম ও আইএসএফ দুই দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দেয়। এই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে আরাবুল সে সময় মন্তব্য করেন, “আমি কী সিদ্ধান্ত নেব, তা দু’একদিনের মধ্যেই জানাব।” এরই মধ্যে আরাবুল ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, বিজেপির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন আরাবুল। ঘটনাচক্রে তারইমধ্যে তাঁকে ডেকে পাঠান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরাবুল আবারও তোপ দেগে বলেছিলেন, “আমি কি বাচ্চা ছেলে? লাথি মেরে দুধ কলা দেবে আর ভুলে যাব?”

আরও পড়ুন: সিরিয়াল নং ৪! আবারও একই কায়দায় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মাথার পিছনে একাধিক আঘাত

এর পরের ঘটনা অবশ্য .কালীঘাট অন্দরেই ঘটে। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ভাঙড়ে নেত্রীর সভায় আরাবুলের উপস্থিতি। মমতার মঞ্চেই আরাবুল সুর চড়ান সেই রেজাউল করিমের সমর্থনেই। তিনি বলেন, “রেজাউল করিমের সমর্থনে বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা।” আর TV9 বাংলাকে আরাবুলের সাফাই, “কর্মীদের ক্ষোভ দুঃখ ছিল।তারা প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমি তৃণমূল কংগ্রেসে আছি, ছিলাম। তৃণমূলের হয়েই প্রচার করছি। আমাদের কোনও ব্যাপারে ক্ষোভ দুঃখ থাকতে পারে। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা, তার বাইরে আমরা যাব না। আমরা দলের হয়েই কাজ করছি।”