প্রচারে বেরিয়ে হামলায় আহত বিজেপি প্রার্থী, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হলেন মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) মতিউর রহমান।
মালদহ: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হলেন মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) মতিউর রহমান। বিজেপির অভিযোগ, পরিকল্পনা মাফিক এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল নাগাদ হরিশচন্দ্রপুরের মালিওর ২ গ্রামপঞ্চায়েতের খাড়া গ্রামে জনসংযোগে বেরোন বিজেপি প্রার্থী। বিশাল সংখ্যক কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য ব্যক্তিগত কাজে নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে একটু দূরে সরে এসেছিলেন মতিউর। আর সেই সুযোগেই তার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির দাবি, মতিউর রহমানকে কিল-চড়ের পাশাপাশি লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। জামা ছিড়ে দেওয়া তাঁর। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে বিজেপি প্রার্থীর। ওই হামলাকারীদের থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে খবরও। এদিকে হামলার প্রেক্ষিতে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ একদল কর্মীর দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানায় তারা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাটিতে ফেলে বুকে-পিঠে কিল চড় ঘুষি! ডায়মন্ড হারবারে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদা
প্রসঙ্গত, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের মানুষ ভোট দেবেন শেষ দু’দফায়। একুশের ভোটে মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার উপর বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে নদিয়ায় ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। বিশেষত মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক ধস নেমেছিল। তা বিজেপির দিকে গিয়েছিল। অন্যদিকে, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে মুসলিম জনসংখ্যা যথাক্রমে ৬৬.২ শতাংশ এবং ৫১.২ শতাংশ। সেই ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে পারলে দুই কঠিন জেলায় জয় পেতে পারে তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতে ক্রমশ ভোটের উত্তাপে গরম হচ্ছে মালদহ।