Amitabh Bachchan: কেরিয়ারের শুরুতে মহমুদের বাড়িই আশ্রয় ছিল অমিতাভের; বিগ বিকে ঢেঁড়স খাওয়াত তাঁর বোন
Mehmood: একটা সময় মহমুদের সঙ্গে খুব মধুর সম্পর্ক ছিল অমিতাভের। কিন্তু পরবর্তীতে এই সম্পর্কে চলে আসে তিক্ততা। অমিতাভ কোনও উচ্চবাচ্য করেননি তা নিয়ে। কিন্তু মহমুদ বুঝিয়েছিলেন তিনি তাঁকে নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত। পরবর্তীতে নাকি সেরকম যোগাযোগও ছিল না মহমুদ-অমিতাভের। ২০০৪ সালে মৃত্যু হয় মহমুদের। তাঁর পুত্রই লাকি আলি।
সম্প্রতি একটি টকশোতে এসেছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা মহমুদের ভাই আনোয়ার আলি। অমিতাভ বচ্চন সম্পর্কে কিছু তথ্য জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, অমিতাভের জন্য খুব পরোয়া করতেন তাঁদের বোন। বিগ বিকে নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়াতেন তিনি। আনোয়ার এবং অমিতাভ দু’জনেই ‘সাত হিন্দুস্থানি’ ছবির অংশ ছিলেন। ছবি মুক্তি পাওয়ার পর টানা দু’বছর মহমুদের বাড়িতেই ছিলেন অমিতাভ।
মহমুদের পেল্লাই রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ির প্রথমতলায় একসঙ্গে থাকতেন অমিতাভ এবং আনোয়ার। মহমুদ থাকতেন তিন তলায়। অন্যান্য তলায় থাকত পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। আনোয়ার বলেছিলেন, অমিতাভ আসা মাত্রই আমাদের বিরাট যৌথ পরিবার তাঁকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছিল। আমার বোনেরা তাঁর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকত। অমিতাভকে রেঁধে খাওয়াত তাঁর প্রিয় কিছু পদ। ঢেঁড়স খেতে খুব ভালবাসত অমিতাভ। আমার এক বোন তাকে সেটি রেঁধে খাওয়াত।
কেবল তাই না, কেরিয়ারের প্রথম দিকে তেমন প্রতিপত্তি তৈরি হয়নি অমিতাভের। কিন্তু মহমুদের জাগুয়ার গাড়ি চেপে স্টুডিয়োতে যেতেন তিনি। প্রযোজকদের সঙ্গে দেখাও করতেন। মাঝে-মাঝে সেই গাড়ির তেল ফুরিয়ে গেলে পথে ট্রেনে আসতেন। আনোয়ার বলেছিলেন, অমিতাভের একটা প্রথম গাড়ি কিনেছিলেন একটি সাদা রঙের ফিয়েট। পরবর্তীতে সেই গাড়িটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন এক গায়ককে। তারপর কিনেছিলেন পন্টিয়্যাক। তার মাঝেই ‘বম্বে টু গোয়া’ এবং ‘আনন্দ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ।
একটা সময় মহমুদের সঙ্গে খুব মধুর সম্পর্ক ছিল অমিতাভের। কিন্তু পরবর্তীতে এই সম্পর্কে চলে আসে তিক্ততা। অমিতাভ কোনও উচ্চবাচ্য করেননি তা নিয়ে। কিন্তু মহমুদ বুঝিয়েছিলেন তিনি তাঁকে নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত। ২০০৪ সালে মৃত্যু হয় মহমুদের।