Bollywood controversy: ধর্মেন্দ্র-র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ, কেমন ছিল তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক হেমা মালিনির?

Hema-Dharmendra: এষা এবং অহনা দুই মেয়ে হেমা-ধর্মেন্দ্র। স্বামী বা বাবার দায়িত্বে কখনই কোনও খামতি রাখেনি ধর্মেন্দ্র। ৪০ বছর পরও দুজনের সম্পর্ক, ভালবাসা অটুট।

Bollywood controversy: ধর্মেন্দ্র-র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ, কেমন ছিল তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক হেমা মালিনির?
ভালবাসার জুটির আর এক নাম হেমা-ধর্মেন্দ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 11:17 AM

ভালবাসার জন্য সব কিছু করা যায়। একজন নিজের সবটা দিয়ে ভালবাসলে, অন্যদিক থেকেও তা ফেরত পাওয়া যায়। এমনটাই মনে করেন হেমা মালিনী (Hema Malini) । ৪০ বছর আগে তিনি ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra) বিয়ে করেন। তখন ধর্মেন্দ্র ছিলেন বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা (সানি দেওল, ববি দেওল)। নায়কের প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। তিনি ধর্মেন্দ্রকে ডিভোর্স দেননি। তাই বাধ্য হয়েই হেমা এবং ধর্মেন্দ্র ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করেন। দুজনে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেন। আয়েষা আর দিলওয়ার নাম নিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের ৪০ বছর পার হয়ে গেলেও আজও আলোচনায় রয়েছে তাঁদের প্রেমের কাহিনি। কোনও সিনেমার থেকে কম ছিল না যখন তাঁরা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন।

স্বপ্নসুন্দরী হেমা মালিনির সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিলেন সেই সময় অনেকেই। তাঁকে বিয়ে করতে চানও অনেকেই। জিতেন্দ্রও ছিলেন সেই তালিকায়। হেমা এবং জিতেন্দ্রর পরিবারও চেয়েছিল তাঁদের বিয়ে দিতে। কিন্তু হেমার পছন্দ ছিল ধর্মেন্দ্রকে। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম মেনে নিতে পারেনি হেমার পরিবার। তাই তাঁরা অন্যত্র মেয়ের বিয়ে দিতে চান। কিন্তু ধর্মেন্দ্র সঙ্গে অথদিনের সম্পর্ক ভেঙে ড্রিম গার্ল অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারেনি। সেটা ভুল হবে বলেই মনে হয়েছিল হেমার। সিমি গারেওয়ালের টক শো হোক কিংবা নিজের আত্মজীবনী-সবেতেই নায়িকা এই কথা বলেছেন।

হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্রের বিয়ের ছবি

স্বভাতই এর পাশাপাশি অন্য প্রশ্নও উঠে এসেছে বারবার। কেমন ছিল ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখেছেন তিনি তাঁকে, তবে বিয়ের পর কোনও দিন দেখা হয়নি। এর পাশাপাশি হেমা এও জানিয়েছেন, তিনি কখনও প্রকাশকে হিংসেও করেননি। আবারও কোনও বিরক্তিও ছিল না। কারণ হেমা মনে করেন, “যখন তুমি কাউ ভালবাস, আর সেও তোমাকে ভালবাসে, তখন এই সব ক্ষুদ্র বিষয় জীবনে কোনও মুল্য রাখে না। আমার আর ধরমজির সম্পর্ক এতটাই শক্ত যে অন্য কিছুর প্রয়োজন কখনওই মনে হয়নি। আমি কোনও কিছুর জন্য তাঁকে কখনও জোর করিনি। তিনি যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই আমাদের সম্পর্ক রয়েছে”। এর চেয়ে বেশি হেমা তাঁর সম্পর্কে বলতে চান না। কারণ তিনি মনে করেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, পুরোটাই তাঁর, যতটুকু তিনি জানাতে চান, তার বাইরে জানার দরকার কারও নেই।

এষা এবং অহনা দুই মেয়ে হেমা-ধর্মেন্দ্র। স্বামী বা বাবার দায়িত্বে কখনই কোনও খামতি রাখেনি ধর্মেন্দ্র। ৪০ বছর পরও দুজনের সম্পর্ক, ভালবাসা অটুট। আজও ধর্মেন্দ্রর বিষয় কথা বলতে গেলে স্বপ্নসুন্দরীর মুখের আভা বদলে যায়। যা দেখে বোঝা যায়, তিনি কতটা সুখী প্রায় ১৫ বছরের বড় স্বামীর সঙ্গে। ২৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন হেমা। সেই সময় তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, সেটা তাঁদের একসঙ্গে দেখলেই বোঝা যায়।