Dhaakad: ‘৮৩ থেকে গাঙ্গুবাই- এই ফ্লপগুলো নিয়ে কেন কেউ কথা বলে না’, প্রশ্ন কঙ্গনার
Kangana Ranaut: গুজবকে উড়িয়ে কঙ্গনা জানান, প্রতিদিন ১০০-র বেশি খবর তাঁর চোখে পড়ে, যেখানে স্পষ্ট লেখা ধকড় ফ্লপ। কঙ্গনার কথায়, কেউ রাধে শ্যাম, ৮৩ বা গাঙ্গুবাইয়ের মত খারাপ ছবি নিয়ে কথা বলে না কেন!
কঙ্গনার মতে ধকড় নেগেটিভ পি.আর.-এর শিকার। এবার ক্ষোভ উগরে দিয়ে এ কী বললেন সেলেব! বেশ কয়েকদিন ধরেই বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে নানা বিতর্ক নেটপাড়ায় তুঙ্গে। দক্ষিণী ছবির দাপটে নাকি টিকতেই পারছে না কোনও ছবিই। তবে সেই ভুল ধারনা ভেঙে ঝড় তুলেছে ভুল ভুলাইয়া ২ ছবি। তারই মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ে কঙ্গনা রানাওয়াতের ধকড়। তাই বলে ৩.৭৭ কোটি আয় মাত্র! এও কি সম্ভব! সম্প্রতি এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল ধকড় ছবিকে। কড়া ভাষায় সমালোচিত হয় কঙ্গনা রানাওয়াতের ছবি। দিনের পর দিন ভুল ভুলাইয়া ২ ছবির সঙ্গে তুলনা টেনে যেভাবে বিতর্কের কেন্দ্রে জায়গা করে নিচ্ছে এই ছবি, তা এক কথায় বলতে গেলে মোটেও ভাল চোখে দেখেননি কঙ্গনা। এবার ফ্লপ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ছবির প্রযোজক দীপক মুকুট।
সম্প্রতি বক্স অফিসে বিগেস্ট ফ্লপ বললে যে ছবির কথা সবার আগে সামনে উঠে আসছে তা হল ধকড়। এমন কি এখনই পর্যন্ত এই ছবি কেনার জন্য ওটিটি বা কোনও স্যাটেলাইট চ্যালেনকেও পাওয়া যাচ্ছে না, এমন খবরও ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই দাবি মেনে নিতে নারাজ ছিলেন প্রযোজক। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, আমরা একটা ভাল ছবি বানিয়েছি। খুব যত্নের সঙ্গে এই ছবিকে বানানো হয়েছে। আমি জানি না ঠিক কেন এমন হল! তবে আমি দর্শকদের মতামতকে সম্মান জানাই। এটা তাঁদের ওপর তাঁরা কোনটা গ্রহণ করবেন, কোনটা গ্রহণ করবেন না। তবে আমাদের মতে, এটা খুব যত্ন নিয়ে তৈরি ভাল ছবি। তবে বক্স অফিস ফ্লপ নিয়ে কিছু বলার নেই, যে আর্থিক ক্ষতির সংখ্যাটা বারে বারে তুলে ধরা হচ্ছে তা সত্য নয়। বিনিয়োগের অধিকাংশটাই আমরা তুলে আনতে পেরেছি। বাকিটাও শীঘ্রই তুলে ফেলার আশা রাখি।
কঙ্গনার প্রশ্ন এখানেই। হিসেব সামনে আনার পরও কেন এক ফ্লপ ঘিরে জল্পনা। সম্প্রতি অফিস বিক্রি নিয়ে উঠে আসা গুজবকে উড়িয়ে কঙ্গনা জানান, প্রতিদিন ১০০-র বেশি খবর তাঁর চোখে পড়ে, যেখানে স্পষ্ট লেখা ধকড় ফ্লপ। কঙ্গনার কথায়, কেউ রাধে শ্যাম, ৮৩ বা গাঙ্গুবাইয়ের মত খারাপ ছবি নিয়ে কথা বলে না কেন!
কিছুদিন আগে কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তারিত তুলে ধরেন, ২০১৯ সালে আমি মনিকর্ণিকা করেছিলাম। ১৬০ কোটি টাকা যা আয় করেছিল বক্স অফিসে। ২০২০ সালে করোনার কোপ, ২০২১ সালে আমি আমার কেরিয়ারের সবথেকে বড় ছবিটা করি, থালাইভা। বর্তমানে আমি অনেক নেগেটিভিটি দেখেছি, ২০২২ সালে লকআপ ভীষণ জনপ্রিয় হয়। ফলে আমি এখনও আশাবাদী। যদিও এই ছবির বক্স অফিসে গতি সীমিত থেকে গিয়েছে ৮ কোটির নিচেই।