সুস্থ হয়ে আবার জিমে ফিরলেন রেমো ডি সুজা: দেখুন ভিডিও

খালি গা, ছাই রঙা ট্র্যাক প্যান্ট, মুখে মাস্ক আর দু’হাতে ডাম্বেল নিয়ে চলছে রেমোর লিফ্টিং।

সুস্থ হয়ে আবার জিমে ফিরলেন রেমো ডি সুজা: দেখুন ভিডিও
জিমে ফিরলেন রেমো।
Follow Us:
| Updated on: Jan 09, 2021 | 4:06 PM

গত ১১ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হন কোরিওগ্রাফার-পরিচালক রেমো ডি সুজা (Remo D’Souza)। চিকিৎসার পর ৩১ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরেছেন তিনি। অন্ধেরি, মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে হয় তাঁর চিকিৎসা। রেমোর বন্ধু মহেশ কুক্রেজা রেমোর হৃদরোগ বিষয়ে জানান, “হার্টে কিছু ব্লকেজ ছিল। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার পর রেমো এখন সুস্থ আছেন। আমরা সবাই আছি, ও আমার পারিবারিক বন্ধু। আমি আশ্বাস দিয়ে বলি, উদ্বিগ্ন হবেন না, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।”

বাড়ি ফিরে ইনস্টাগ্রামে ছবিও পোস্ট করেন রেমো। লেখেন, “আমি ফিরেছি, ধন্যবাদ আমাকে এতটা ভালবাসা এবং প্রার্থনা করার জন্য।”

View this post on Instagram

A post shared by Remo Dsouza (@remodsouza)

রেমো ডি সুজা আগাগোড়া স্বাস্থ্যসচেতন। নিয়মিত জিম করতেন। এবং জিমিংয়ের সময়েই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তবে এতদিন পর এখন অনেকটাই সুস্থ রেমো। তাই আবার মন দিলেন শরীরচর্চায়। ফিরলেন জিমে। সম্প্রতি পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেল খুব কম ওয়েট নিয়ে তিনি লিফ্টিং করছেন। খালি গা, ছাই রঙা ট্র্যাক প্যান্ট, মুখে মাস্ক আর দু’হাতে ডাম্বেল নিয়ে চলছে রেমোর লিফ্টিং। ভিডিওর ক্যাপশানে লেখেন, ‘প্রত্যাবর্তন সবসময়ই শক্তিশালী বিপত্তির চেয়ে। আজই শুরু করলাম। ধীরে কিন্তু অবশ্যই।’

রেমো ডি সুজা

রেমো এক সাক্ষাৎকারে সেই ‘বিভীষিকাময়’ দিন প্রসঙ্গে বলেন, “আমার কাছে, একেবারে রেগুলার একটা দিন ছিল। ব্রেকফাস্ট করে জিমে গেলাম। লিজেল (স্ত্রী) এবং আমার ট্রেনার এক। ট্রেনার ওকে গাইড করছিল। আমি তখন ট্রেডমিলে হাঁটলাম। তারপর চুপচাপ বসেছিলাম, নিজের টার্নের অপেক্ষা করছিলাম। লিজেল ট্রনিং শেষ হতেই আমি উঠলাম। বুকের ঠিক মাধখানে ব্যথা হতে শুরু করে। ভাবলাম অ্যাসিডিটি হয়েছে। জল খেলাম। কিন্তু ব্যথাটা ছিল, আমি ট্রেনারকে বললাম আজকের ট্রেনিং বাতিল করো।”

তিনি আরও বলেন, “ তারপর, আমি আর লিজেল লিফ্ট করে উপরে যাওয়ার জন্য সুইচ টিপি। লিফ্ট থেকে বেরিয়ে ভীষণ কাশি হচ্ছিল, বমি করতেও চাই। লিজেল আমার স্মার্ট ওয়াচে হার্টবিট, ইসিজি দেখল, তাতে লেখা ফুটে ওঠে, ‘আপনি কি সুস্থ বোধ করছেন না?’ এরকম যন্ত্রণা আমি আজ পর্যন্ত অনুভব করিনি। হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারলাম বড়সড় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।”