Shah Rukh Khan: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বাংলাদেশে ‘পাঠান’, টিকিটের কেমন বিক্রি হচ্ছে?
Shah Rukh Khan: কলকাতায় অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে' হাওয়া দেখানো হয়েছিল। বিনামূল্যে ওই ছবি দেখার লোভনীয় অফার পেয়ে দলে দলে মানুষ ভিড় করেছিলেন। দেখার সুযোগ না পেয়ে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে অনেকেই বিদায় জানিয়েছিলেন নন্দনকে। মানুষের হাওয়া 'ক্রেজ' দেখে যখন এ রাজ্যে হাওয়া মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে, তখন কিন্তু ঠিক বিপরীত চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।
কলকাতায় অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে’ ‘হাওয়া’ দেখানো হয়েছিল। বিনামূল্যে ওই ছবি দেখার লোভনীয় অফার পেয়ে দলে দলে মানুষ ভিড় করেছিলেন। দেখার সুযোগ না পেয়ে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে অনেকেই বিদায় জানিয়েছিলেন নন্দনকে। মানুষের হাওয়া ‘ক্রেজ’ দেখে যখন এ রাজ্যে হাওয়া মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে, তখন কিন্তু ঠিক বিপরীত চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। টিকিট কেটে হলে ওই ছবি দেখতে ভিড় জমাননি দর্শক। ‘পাঠান’ ছবির ক্ষেত্রেও কি এমনটা হতে পারে? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি বাংলাদেশের সিনেমা হলের ডিস্ট্রিবিউটাররা। সত্যি কি তাই- হল? ৭১-এর পর বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া কোনও হিন্দি ছবি কেমন ব্যবসা করল জানেন? ৪৮টি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। প্রতি দিন দেখানো হচ্ছিল ২০০টি করে শো। স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটার অনন্য মামুন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথম দু’দিনের টিকিট ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের দর্শক ফুটছে ‘পাঠান’ জ্বরে। সব জায়গাতেই লেগেছে হাউজফুল তকমা।
এর আগে শোনা গিয়েছিল ৫ মে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। তবে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, ইদে ওই দেশে বেশ কিছু ছবি মুক্তি পেয়েছে। সে কারণেই কিং খানের ছবি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। পাঠান মুক্তির খবর সামনে আসতেই যশরাজের তরফে নেলসন ডি’সুজা বলেছিলেন, “সিনেমা সব সময়ই দেশ, জাতির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এসেছে। সমস্ত সীমা ঘুচিয়ে দেয় সিনেমা। আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি অবশেষে ছবিটি বাংলাদেশের মানুষদের আনন্দ প্রদান করার জন্য যাচ্ছে।”
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “১৯৭১ সালের পর থেকে ওই দেশে আর কোনও হিন্দি ছবি মুক্তি পায়নি। সেক্ষেত্রে পাঠানই প্রথম ছবি হতে চলেছে। আমরা শুনেছিল বাংলাদেশে শাহরুখে প্রচুর অনুরাগী রয়েছে।” ওই দেশের সেন্সরেও আটকায়নি এই ছবি। বরং সকলেরই ভাল লেগেছে ছবিটি।সারা বিশ্বে এই ছবি এখনও পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ১০০০ কোটি। এই ছবির মধ্যে দিয়েই কামব্যাক করেছিলেন শাহরুখ। ছবির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনিও। এরই মধ্যে গেরুয়া-বিতর্কের মধ্যেও পড়তে হয় তাঁকে। ছবিতে দীপিকার একটি গান ‘বেশরম’-এ তাঁর পোশাক নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যদিও সে সব অতীত। যাবতীয় সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে ওই ছবি সুপারহিট হয়। শাহরুখ খানও খুঁজে পান তাঁর হারানো মসনদ। এবার সময় এসেছে বাংলাদেশের মন জয়ের।