কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ ‘চিকেন তেহারি’

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যখন করোনার প্রকোপ সেভাবে আছড়ে পড়েনি এদেশে, তখনই মুম্বইয়ে শুটিং ছবির সেরেছিল টিম ‘চিকেন তেহারি’। অভিনেত্রীর মুম্বইয়ের বাড়িতেই হয়েছিল শুটিং।

কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ ‘চিকেন তেহারি’
পিয়ালী চট্টোপাধ্যায় (অভিনেত্রী এবং পরিচালক নাসরিনা খান।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2021 | 7:59 PM

এ বার কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘চিকেন তেহারি’ খেলে কেমন হয়? জিভে জল এল তাই তো! আক্ষরিক অর্থে আস্বাদন না হলেও, এবার ২৬তম কেআইএফএফ-এ দেখানো হবে মুম্বইনিবাসী পরিচালক নাসরিনা খানের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘চিকেন তেহারি’। মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার পিয়ালী চট্টোপাধ্যায়।

মুম্বইয়ে থাকেন পিয়ালী। সেই শহরেরই বাসিন্দা নাসরিনা। পরিচালক-অভিনেত্রীর এই মিলিত প্রয়াস বড়পর্দায় দর্শক প্রথম দেখতে পাবেন এ বারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। ১১ জানুয়ারি শিশির মঞ্চে দুপুর তিনটে এবং ১৩ জানুয়ারি নন্দনের তৃতীয় নম্বর প্রেক্ষাগৃহে সন্ধে ছ’টায় স্ক্রিনিং হবে ‘চিকেন তেহারি’র।

 আরও পড়ুন ফিট থাকলেই হিট! ভিডিও পোস্ট করে বার্তা দিলেন কঙ্গনা

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যখন করোনার প্রকোপ সেভাবে আছড়ে পড়েনি এদেশে, তখনই মুম্বইয়ে শুটিং ছবির সেরেছিল টিম ‘চিকেন তেহারি’। অভিনেত্রীর মুম্বইয়ের বাড়িতেই হয়েছিল শুটিং। ছবির প্রযোজনা করেছিলেন পরিচালক নিজেই। লকডাউনের মধ্যে পোস্ট প্রোডাকশনের কিছুটা কাজও সেরে রেখেছিলেন তিনি। নারীকেন্দ্রিক ছবিতে একটিমাত্রই প্রধান চরিত্র। চরিত্রের নাম আমনা। নাসরিনা বলেন, “আগের দুটো ছবির বিষয়বস্তু বেশ গুরুগম্ভীর ছিল। তবে এটা তেমন নয়। ছবিটি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তৈরি। পিয়ালী আমার ক্লাসমেট। একদিন ওঁর সঙ্গে আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। ওকে অভিনয়ের প্রস্তাব তখনই দিয়েছিলাম। ও রাজিও হয়। দু’দিনেই শুটিং শেষ হয়। আমি তো ভাবিওনি ছবিটা এ বারের কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কম্পিটিশন সেকশনে মনোনীত হবে। তবে এই বিধিনিষেধ মেনে, এত কঠিন সময়ের মধ্যেও যে ছবিটা কিছু সংখ্যক দর্শক দেখতে পাবেন, সেটা ভেবেই ভাল লাগছে।”

একসময় প্রফেশনাল নিউজ অ্যাঙ্কার ছিলেন পিয়ালী চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার বেশ কিছু সংবাদ সংস্থায় কাজ করেছেন। এখন তিনি মুম্বইয়ের ভয়েস আর্টিস্ট। এর আগেও দু’টি ছবিতে অভিনয় করেছেন পিয়ালী। কিন্তু পুরোদমে বড় কাজ বলতে ‘চিকেন তেহারি’ই। পিয়ালী তাঁর প্রথম বড় কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “এই ছবি গৃহবধূদের উদ্দেশ্যে তৈরি, যাঁরা সারাজীবন পরিবারের বাকিদের খুশি করে কাটিয়ে দেন। ফলে নিজেরাই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত করেন নিজেদের। ছবিতে কাজ করতে গিয়ে আমনা চরিত্রটির সঙ্গে নিজের অনেক মিল খুঁজে পেয়েছি। বারবার মনে হয়েছে, আমার জন্যই লেখা হয়েছে চরিত্রটা। আমনার মতো আমিও রান্না করতে ভালবাসি।”

এর আগে তিনটে শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন পরিচালক নাসরিনা। প্রথম ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়েছিল। ছবিটি এক দৃষ্টিহীনার গল্প বলে নাম ‘সুনয়না – দ্য বিউটিফুল আই’। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেই প্রথম প্রিমিয়ার হয়েছিল ছবিটির। অস্ট্রেলীয় একটি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিল সেই ছবি। দ্বিতীয় ছবিটি তিনি তৈরি করেন বাংলায়, যার নাম ‘একটি অজানা গল্প’। ছবিতে নাসরিনার বাবা এ.কে.এম আহমেদ অভিনয় করেছিলেন।