Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Prosenjit-Biswanath: দুবাইয়ে প্রসেনজিতের পাশে বিশ্বনাথের ছবি; বললেন, “আহা, আমার মতো সুখী কে আছে?”

বিশ্বনাথের জন্মদিকে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ।

Prosenjit-Biswanath: দুবাইয়ে প্রসেনজিতের পাশে বিশ্বনাথের ছবি; বললেন, আহা, আমার মতো সুখী কে আছে?
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও বিশ্বনাথ বসু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2021 | 7:04 AM

২৮ অক্টোবর ছিল অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর জন্মদিন। প্রত্যেকবারের মতো এবারও পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কেটে যায় বিশ্বনাথের বিশেষ দিনটি। কিন্তু এবার তাঁর জন্মদিন স্পেশ্যাল করে তুললেন তাঁর প্রিয় বুম্বাদাই। বিশ্বনাথের জন্মদিনে নিজের ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া পেজে থেকে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বয়ং ‘ইন্ডাস্ট্রি’। বলেছেন, “শুভ জন্মদিন বিশ্বনাথ বসু। খুব খুব ভালো থাকিস। গড ব্লেস। পোস্ট করেছেন একটি ছবিও।

 

 

জন্মদিনে কেউ যদি তারিখ মনে রেখে শুভেচ্ছা জানায়, তার থেকে বড় উপহার আর কোনও কিছুতে হতে পারে না। তার উপর সেই শুভেচ্ছাবার্তা যদি ভেসে আসে কোনও বিশেষ ব্যক্তির থেকে, আর কোনও কথাই থাকে না। ফলে আবেগতাড়িত হয়ে গিয়ে প্রিয় বুম্বাদাকে নিয়ে একটি লম্বা ফেসবুক পোস্ট করেছেন বিশ্বনাথ। তুলে ধরেছেন তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি, কীভাবে ছোটবেলা থেকে বড়বেলা তাঁকে ভরিয়ে রেখেছিলেন ‘নায়ক’ প্রসেনজিৎ।

 

 

বিশ্বনাথ লিখেছেন, “সেদিন জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। সালটা ১৯৯৫। বাড়ির পাশে ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, দুই ভাই সাইকেল চেপে গোলদার পাড়ায় ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম, কষ্টটা যাতে লাঘু হয়। কষ্ট কীসের? প্রসেনজিৎ আসছেন পাশের বাদুড়িয়াতে ওয়ান ওয়াল ‘সহধর্মিনী’তে অভিনয় করতে। ৮ থেকে ৮০ সবাই ছুটছে, সাইকেল, তিনচাকা ভ্যান বোঝাই দর্শক চলেছে। আমরা দু’ভাই শুধু বাদ বাবার হুকুমে। মনমরা নিমরাজি হলেও পড়তে বসতে হয়েছিল। সেদিন মনখারাপের জন্য তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। যদিও গাঁ দেশে ওটাই সময় ছিল শুতে যাওয়ার। রাতে হঠাৎ বাবার উচ্চস্বর পেয়ে ধরমরিয়ে উঠে দেখি কপালে মার নাচ্ছে। দর্শকের চাপে শোতে বিরাট গন্ডগোল, করুণ পরিণাম বাবা চাক্ষুষ করেছে। আমারও একই অবস্থা হত, শুধু সঙ্গে বাবার এক বন্ধু থাকায় বেঁচে যাই। তবে অভিনয় করার পোকাটার সাইজ আর একটু বেড়ে যায়। বাড়ে তার কামড়। সেই কামড়ের তীব্রতা ৯৭ সালে টালিগঞ্জ নিয়ে আসে আমায়। ২০০০ সালে আমার কর্মজীবনের শুভারম্ভ হয়। তারপর স্বপন সাহার হাত ধরে ‘শত্রুর মোকাবিলা’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘কর্তব্য’, ‘অন্যায় অত্যাচার’, ‘সজনী’ থেকে ‘প্রাক্তন’ প্রসেনজিৎ থেকে বুম্বাদা,পাহাড় সম যার উপস্থিতি আমার মনে। ছবিটা দুবাইয়ে তোলা। আহা আমার মতো সুখী কে আছে?”