Christmas Movies: সান্তা ক্লজের গল্প শুনতে ভাল লাগে? তাহলে ক্রিসমাস থেকে নিউ ইয়ার পর্যন্ত দেখে নিন এই ছবিগুলো…
ক্রিসমাসের সঙ্গে সান্তা ক্লজের সম্পর্ক অটুট। এই ক্রিসমাস আরও ভাল ভাবে কাটাতে বাড়তি পাওনা হবে এই সিনেমাগুলো। সান্তা ক্লজকে ঘিরে আবর্ত হওয়া এই গল্পগুলো দেখে বেশ মজা পাবেন আপনি...
করোনা থেকে ক্রিসমাস, ২০২২ ও আসন্ন, আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। ২০২১ আমাদের শুরু থেকেই সামগ্রিকভাবে ভাল থাকার হিসেব নিকেশটা অনেকটাই ঘেঁটে দিয়েছিল। কিন্তু, বছরের শেষটা একটু ভালভাবে করাই যায়। প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে কিছুটা সময় কাটিয়ে, অল্প হাসি বিনিময় করে আর পছন্দের কিছু সিনেমা দেখে। এমনই কিছু মন ভাল করা ক্রিসমাসের সিনেমার তালিকা থাকল আপনার জন্য-
দ্য সান্তা ক্লজ (১৯৯৪) (The Santa Claus):
সান্তা ক্লজ হল ১৯৯৪ সালের আমেরিকান ক্রিসমাস কমেডি-ড্রামা যা লিও বেনভেনুটি এবং স্টিভ রুডনিক লিখেছিলেন। জন পাসকুইন এই ছবির পরিচালক। সান্তা ক্লজ ফিল্ম সিরিজের প্রথম ছবি এটা। এই ছবিতে টিম অ্যালেনকে স্কট ক্যালভিন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। ছবিতে দেখা যায় যে দুর্ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজ বড়দিনের আগের দিন তার ছাদ থেকে পড়ে যান। তখন উত্তর মেরুতে থাকা স্কটকে নতুন সান্তা হতে হয় এবং যাদেরকে সে ভালবাসে তাদের বোঝাতে হয় যে সে আসলেই সান্তা ক্লজ।
আর্থার ক্রিসমাস (২০১১) (Arthur Christmas):
আর্থার ক্রিসমাস হল ২০১১ তে মুক্তি পাওয়া কম্পিউটার-অ্যানিমেটেড সায়েন্স ফ্যান্টাসি কমেডি। ছবির পরিচালনা করেছেন সারা স্মিথ এবং ব্যারি কুক। জেমস ম্যাকঅ্যাভয়, হিউ লরি, বিল নাই, জিম ব্রডবেন্ট, ইমেল্ডা স্টনটন এবং অ্যাশলে জেনসেনের কন্ঠ সমন্বিত এই ছবিটি সনি পিকচার্স অ্যানিমেশনের ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল।
দ্য পোলার এক্সপ্রেস (২০০৪) (The Polar Express):
দ্য পোলার এক্সপ্রেস হল ২০০৪ সালের আমেরিকান কম্পিউটার-অ্যানিমেটেড ক্রিসমাস মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি অ্যাডভেঞ্চার। প্রযোজক চলচ্চিত্রটিতে লাইভ-অ্যাকশন মোশন-ক্যাপচার অ্যানিমেশন ব্যবহার করে মানব চরিত্রগুলিকে দেখিয়েছেন। এটি একটি অল্প বয়স্ক ছেলের গল্প বলে যে, ক্রিসমাসের ঠিক আগে, উত্তর মেরুতে আবদ্ধ একটি রহস্যময় ট্রেন তার জানালার বাইরে থামতে দেখে। তারপর সেই ট্রেনের কন্ডাক্টর তাকে আমন্ত্রণ জানায়। ক্রিসমাসের প্রস্তুতিতে সান্তা ক্লজের সঙ্গে দেখা করার জন্য যাত্রা শুরু করার সময় ছেলেটি আরও কয়েকটি বাচ্চার সঙ্গে যোগ দেয়। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস, যিনি চলচ্চিত্রটির নির্বাহী প্রযোজকদের একজন, ড্যারিল সাবারা, নোনা গে, জিমি বেনেট এবং এডি ডিজেন সহ একাধিক স্বতন্ত্র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
আ ক্রিসমাস স্টোরি (১৯৮৩) (A Christmas Story):
আ ক্রিসমাস স্টোরি হল একটি ১৯৮৩ সালের আমেরিকান ক্রিসমাস কমেডি, যা বব ক্লার্ক দ্বারা পরিচালিত। জিন শেফার্ডের ১৯৬৬ সালের বই ইন গড উই ট্রাস্ট: অল আদারস পে ক্যাশের আধা-কাল্পনিক উপাখ্যানের উপর ভিত্তি করে এই ছবির স্ক্রিনপ্লে লেখা হয়েছিল। এতে মেলিন্ডা ডিলন, ড্যারেন ম্যাকগ্যাভিন এবং পিটার বিলিংসলে অভিনয় করেছেন। ল এটি ২০০৪ সালে টিবিএসে- ‘২৪ আওয়ারস অফ এ ক্রিসমাস স্টোরি’ শিরোনামে দেখানো হয়েছে, যা বার্ষিক ক্রিসমাস ইভের সন্ধ্যা থেকে ক্রিসমাসের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলচ্চিত্রটির টানা ১২ টি সম্প্রচার দেখায়। এটি প্রায়ই সেরা ক্রিসমাস চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি হিসাবে স্থান করে নেয়।
সান্তা বাডিজ (২০০৯) (Santa Buddies):
সান্তা বাডিজ ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এটি এয়ার বাডিস স্পিন-অফ সিরিজের চতুর্থ অধ্যায় এবং এয়ার বাড ফ্র্যাঞ্চাইজির নবম চলচ্চিত্র। ছবিতে টম বোসলির উপস্থিতি ছিল তার মৃত্যুর আগে তার চূড়ান্ত ভূমিকা। সান্তাকে সাহায্য করতে এবং ক্রিসমাস বাঁচাতে একদল কুকুরছানা উত্তর মেরুতে রওনা দেয়।
গেট সান্তা (২০১৪) (Get Santa):
গেট সান্তা ২০১৪ সালের ব্রিটিশ ক্রিসমাস কমেডি, যা ক্রিস্টোফার স্মিথ লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন জিম ব্রডবেন্ট, রাফে স্পাল, ওয়ারউইক ডেভিস, স্টিফেন গ্রাহাম, জোডি হুইটেকার এবং কিট কনর। সান্তাকে পুলিশের কাছ থেকে পালাতে দেখে তাঁকে বাড়িতে ফিরতে সাহায্য করা একজন বাবা এবং ছেলের গল্প বলে এই ছবি।
জিঙ্গেল অল দ্য ওয়ে (১৯৯৬) (Jingle All the Way):
জিঙ্গেল অল দ্য ওয়ে হল ১৯৯৬ সালের আমেরিকান ক্রিসমাস ফ্যামিলি কমেডি, যার পরিচালক ব্রায়ান লেভান্ট। এতে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার এবং সিনবাদকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পিতার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। ম্যাট্রেস সেলসম্যান হাওয়ার্ড ল্যাংস্টন (শোয়ার্জেনেগার) এবং ডাক কর্মী মাইরন লারাবি (সিনবাদ) দু’জনেই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় তাদের নিজেদের ছেলের জন্য টার্বো-ম্যান অ্যাকশন ফিগার কেনার মরিয়া চেষ্টা করছেন বড়দিনের আগের দিন।
হাউ দ্য গ্রিঞ্চ স্টোল ক্রিসমাস (২০০০) (How the Grinch Stole Christmas):
হাউ দ্য গ্রিঞ্চ স্টোল ক্রিসমাস (ড. সিউস’ হাউ দ্য গ্রিঞ্চ স্টোল ক্রিসমাস বা সহজভাবে দ্য গ্রিঞ্চ নামেও পরিচিত) ২০০০ সালের আমেরিকান ক্রিসমাস ফ্যান্টাসি কমেডি-ড্রামা। রন হাওয়ার্ড এই ছবির পরিচালনা করেছেন। একই নামের ডঃ সিউসের ১৯৫৭ সালের বইয়ের উপর ভিত্তি করে এই ছবি তৈরি করা হয়। স্বনামধন্য অভিনেতা জিম ক্যারি এই ছবিতে গ্রিঞ্চের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও, জেফরি ট্যাম্বর, ক্রিস্টিন বারানস্কি, বিল আরউইন এবং মলি শ্যানন রয়েছেন অন্যান্য ভূমিকায়।
মিরাকল অন দ্য থার্টি ফোর্থ স্ট্রিট (১৯৪৭)(Miracle on 34th Street):
মিরাকল অন দ্য থার্টি ফোর্থ স্ট্রিট (প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্যে যা দ্য বিগ হার্ট হিসেবে মুক্তি পায়) ১৯৪৭ সালের আমেরিকান ক্রিসমাস কমেডি-ড্রামা, যা 20th Century Fox-এর ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিটি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন জর্জ সিটন। এতে অভিনয় করেছেন মৌরিন ও’হারা, জন পেইন, নাটালি উড এবং এডমন্ড গোয়েন। গল্পটি নিউ ইয়র্ক সিটিতে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে এবং ক্রিসমাস ডে এর মধ্যে সংঘটিত হয়। একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আর সান্তা ক্লজের প্রভাব ঠিক কেমন হতে পারে সেই নিয়েই এই ছবির গল্প। চলচ্চিত্রটি বহু বছর ধরেই বড়দিনের অন্যতম প্রিয় ছবি হয়ে আসছে।
সান্তা ক্লজ: দ্য মুভি (১৯৮৫) (Santa Claus: The Movie):
সান্তা ক্লজ: দ্য মুভি হল একটি ১৯৮৫ সালের পারিবারিক ফ্যান্টাসি। ছবিতে ডুডলি মুর, জন লিথগো এবং ডেভিড হাডলস্টন অভিনয় করেছেন। এতে সান্তা ক্লজের উৎপত্তি (হাডলস্টন অভিনীত) এবং তাঁর একজন পরীকে (মুর অভিনীত) বাঁচানোর জন্য তাঁর আধুনিক দিনের দুঃসাহসিক কাজকে দেখানো হয়েছে। পরীটিকে একজন অসাধু খেলনা কোম্পানির নির্বাহী (লিথগো অভিনীত) তুলে নিয়ে চলে যায়। ছবিটি জ্যানেট সোয়ার্চ দ্বারা পরিচালিত।
ক্লজ (২০১৯) (Klaus):
ক্লজ ২০১৯ সালের অ্যানিমেটেড ছবি যা সার্জিও পাবলোসের লেখা এবং তিনিই পরিচালনা করেছেন। তাঁর কোম্পানি সার্জিও পাবলস অ্যানিমেশন স্টুডিও এই ছবির প্রযোজক এবং নেটফ্লিক্স এই ছবির রিলিজ করে। ছবিতে জেসন শোয়ার্টজম্যান, জে কে সিমন্স, রাশিদা জোনস, উইল সাসো, নেদা মার্গ্রেথ লাব্বা, সার্জিও পাবলোসের কণ্ঠস্বর রয়েছে। ছবিটি মূলত সান্তা ক্লজের একটি বিকল্প উৎসের গল্প। ১৯ শতকের একটি কাল্পনিক সেটিং ব্যবহার করে প্লটটি সুদূর উত্তরের একটি দ্বীপের শহরের ঘটনা বলে। সেখানকার একজন পোস্টম্যানের চারপাশে আবর্তিত হয় এই গল্প যিনি একটি নিঃসঙ্গ খেলনা নির্মাতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন, যিনি স্বয়ং ক্লজ।
ছবিগুলো দেখুন, প্রিয়জনের সঙ্গে দেখুন, ভালবেসে দেখুন…ভাল কাটুক আপনার ক্রিসমাস, ভাল কাটুক আমার আপনার সবার ২০২২।
আরও পড়ুন: Baba Vabga for 2022: আগামী বছর পৃথিবীর ভাগ্যে কী রয়েছে?বাবা ভাঙ্গার গণনা কখনও বিফলে যায় না