Exclusive Kabir Suman: ‘মারা যাওয়ার আগে…’, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির ‘প্রোমোটারি’ নিয়ে মুখ খুললেন সুমন

Sandhya Mukhopadhyay: মৃত্যুর মাত্র ১৬ মাস পার হয়েছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের লেক গার্ডেন্সের বাড়িটিতে এই কয় দিন আগেও ঘর জুড়ে ছিল কিংবদন্তী গায়িকার স্মৃতি। তবে এবার তাতে প্রোমোটরের হাত পড়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাধের বড়িটিকে।

Exclusive Kabir Suman: 'মারা যাওয়ার আগে...', সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির 'প্রোমোটারি' নিয়ে মুখ খুললেন সুমন
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির 'প্রোমোটারি' নিয়ে মুখ খুললেন সুমন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2023 | 1:59 PM

বিহঙ্গী বিশ্বাস 

মৃত্যুর মাত্র ১৬ মাস পার হয়েছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের লেক গার্ডেন্সের বাড়িটিতে এই কয় দিন আগেও ঘর জুড়ে ছিল কিংবদন্তী গায়িকার স্মৃতি। তবে এবার তাতে প্রোমোটরের হাত পড়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাধের বাড়িটিকে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সন্ধ্যা-কন্যা সৌমির সম্মতিতেই। রোষানলে সাধারণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ‘বিপ্লব’। এরই মধ্যেই টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল কবীর সুমনের সঙ্গে। যিনি সন্ধ্যা ঘনিষ্ঠ হিসেবে বহু দিন ধরেই পরিচিত। খবরটা শুনেই যেন গলা ধরে এল তাঁর। একরাশ বিষাদ পড়ল চুইয়ে। বললেন, “কী বলি বলুন তো? আমি বুড়ো মানুষ… এসব শুনলে কান্না পায়। আমার কিছুই বলার নেই।” এরপর একটু চুপ থাকার পর তিনি ফের বললেন, “মারা যাওয়ার ঠিক আগে মানুষটিকে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা মনে পড়ল ওঁদের। সন্ধ্যাদি নেননি। ফেরত দেন, সে কারণে ওকে দেশদ্রোহীর তকমাও শুনতে হয়েছে। আরে ওঁর কড়ে আঙুলেরও যোগ্য নন, এমন কিছু জনকে পদ্মভূষণ, বিভূষণ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে উনি পদ্মশ্রী! এই অপমান তো আরও সাংঘাতিক… তাই এটাই তো হওয়ার ছিল।”

উস্তাদ বড় গুলাম আলি খাঁ সাহেবকে নিজের গুরুর তকমা দিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বাড়ির হাড়গোড়ের মধ্যে ওঁর ছবিরও দেখা মিলেছে…দেখা মিলেছে হারমোনিয়ামের বাক্সের, আরও ছড়ানো ছেটানো কত স্মৃতির। সঙ্গীত মহলের অনেকেই এ নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। গায়িকা কৌশিকী চক্রবর্তী বড়ে গুলাম আলি খাঁ সাহেবের ছবিটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? পরিবারের জানিয়েছে, এ পরিবারের সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে সন্ধ্যা ভক্তদের প্রশ্ন, গায়িকা কি শুধুই পরিবারের নিজস্ব? ভক্তদের আবেগের প্রতি কি পরিবারের কোনও দায় নেই? অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আতিথেয়তার কথা। এক গাল হাসি নিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনার সেই দিনগুলো… সন্ধ্যা চলে গিয়েছেন…ভাঙা হল তাঁর বাড়িও… কবি বলেছেন, ‘বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড় কম…’। সেই প্রমাণই যেন মিলল আবারও।