ছোট রথের বড় চমক
ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের ক্রেট প্লাস্টিকের শিট বিয়ারিং দিয়ে রথ বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিল চেতলার দুই খুদে। দীপ আর রাজা।
প্রীতম দে
বড় রথ টানা বারণ। ছোট রথ চললো গড়গড়িয়ে। এমনকি রথ সাজানো আর টানার আস্ত একটা প্রতিযোগিতাও হয়ে গেল। বকুলতলা একতা সংঘে (গোলবাড়ি) তিরিশটি রথ চললো।
কারও রথ টানছে পক্ষীরাজ ঘোড়া। চলছে মেঘের ওপর দিয়ে। পদ্ম ফুলের (অন্য মানে করবেন না কেউ প্লিজ) উপরে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। কারও রথ সবুজে সবুজে মোড়া। কারও রথে ফুটেছে সূর্যমুখী ফুল। কারও রথে ১৫ ই আগস্ট এর আভাস। সাজসজ্জা তেরঙা। উদ্যোক্তাদের তরফে বীরেন দত্ত জানালেন, “ছোটদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। রথযাত্রা উৎসব ওদেরই। সারাদিন অনলাইন। আমাদের বিশ্বাস ওরা খুব আনন্দ পেয়েছে।”
শেষে ছিল যত খুশি তত পাঁপড়। পাঁপড় ভাজার মহাভোজ। মানে রথ দেখা পাঁপড় ভাজা দুইই হল।
অন্যদিকে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের ক্রেট প্লাস্টিকের শিট বিয়ারিং দিয়ে রথ বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিল চেতলার দুই খুদে। দীপ আর রাজা। ঝাঁ-চকচকে রথ কেনার সামর্থ নেই পরিবারের। তাই হ্যান্ড মেড রথ। হাতের কাছে পাওয়া ভাঙাচোরা জিনিসপত্র থেকে। পাড়ার দোকানে কাজ করা এক দাদার দৌলতে ফেসবুকে উঠল তাদের রথ এবং নিমেষে গড়গড়িয়ে ভাইরাল। যার চোখে পড়েছে এবং সবার চোখে পড়িয়েছেন সেই দাদা প্রীতম ভাণ্ডারি কনফিডেন্ট, “জানতাম ছোট ভাইদের রথ ভাইরাল হবে”।