ওয়ার্ল্ড আর্ট ডে: করোনা আবহেও বিশ্বজুড়ে চলবে শিল্পকলার উদযাপন, সোশ্যাল মিডিয়াতে চলবে উৎসব
অন্যান্য বছর এই দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনফারেন্স, প্রদর্শনী এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে চলতি বছর করোনার দাপটে উদযাপনের অনুষ্ঠানে অনেক কাটছাঁট করা হয়েছে।
প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড আর্ট ডে’। মূলত গোটা দুনিয়ায় ‘ফাইন আর্টস’ সংক্রান্ত যেসমস্ত কাজ হয়, সেইসব কিছুকে উদযাপনের জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট এই দিন। ইউনেসকোর- র পার্টনার ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আর্ট’ এই দিন উদযাপনের ব্যাপারটা চালু করেছিল। লক্ষ্য ছিল ক্রিয়েটিভ অ্যাক্টিভিটি অর্থাৎ সৃজনশীলতার প্রতি আরও বেশি করে বিশ্ববাসীকে আকৃষ্ট করা।
২০১২ সালে প্রথমবার ‘ওয়ার্ল্ড আর্ট ডে’ পালিত হয়েছিল। খানিকটা কাকতালীয় ভাবেই ১৫ এপ্রিল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি- রও জমদিন। ২০১৫ সালে লস এঞ্জেলসে এই দিন পালন করা হয়েছিল। আর ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আর্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজের অফিশিয়াল শাখা খুলেছিল।
এই বিশেষ উদযাপনের ক্ষেত্রে ইউনাইটে নেশনস এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেসকো) সবসময়ই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিল্পীদের অবদানকে সম্মান জানায়। সমাজের সার্বিক উন্নতির ক্ষেত্রে শিল্পকলার গুরুত্ব কতটা, সেটাও বোঝানো হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এই দিন বিশেষ ভাবে উদযাপন করা হয়।
অন্যান্য বছর এই দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনফারেন্স, প্রদর্শনী এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে চলতি বছর করোনার দাপটে উদযাপনের অনুষ্ঠানে অনেক কাটছাঁট করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আর্ট আগ্রহীদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অংশ্রগ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। বাড়ি বসেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের শিল্পকলা চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা।
আজ তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আয়োজিত হবে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও শিল্পকলা যে সমাজের উন্নয়নের সাহায্য করবে সেকথা আরও একবার স্পষ্ট হবে।