Zeenat Aman: চোখের উপরের পাতা ঝুলে যায়; চেহারার এই পরিবর্তনের কারণে ৪০ বছর ধরে ‘গসিপ’ হয় তাঁকে নিয়ে
Zeenat Aman on Eye Treatment: সোশ্যাল মিডিয়ার লম্বা পোস্টে জ়িনাত যা লিখেছেন, তার সারমর্ম এই, "ঝুলে আসা চোখের পাতার কারণে মানুষ আমাকে অযাচিতভাবে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছিল। আমি হয়ে উঠেছিলাম পরনিন্দা, পরচর্চার বিষয়। আমাকে নিয়ে খুব গসিপ হত। এ বছর মে মাসে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে চিকিৎসা করাই চোখের।"
৪০ বছর আগের কথা। চোখে আঘাত পেয়েছিলেন জ়িনাত আমান। সেই ক্ষত সাড়েনি ৪০ বছর। অনেকটাই বয়স হয়েছে তাঁর। ৭১ বছর। এই বার্ধক্যে ৪০ বছর আগেকার সেই ক্ষত সমস্যায় ফেলেছিল অভিনেত্রীকে। ক্ষতর কারণে চোখের উপরের পাতা ঝুলে যাচ্ছিল ক্রমশ। দৃষ্টিশক্তিতে বাধা তৈরি করেছিল। এই সমস্যার নাম ‘পিটোসিস’ (ptosis)। সম্প্রতি অস্ত্রোপচার হয়েছে অভিনেত্রীর৷ তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখের এই ব্যাধি সম্পর্কে নানা কথা লিখেছেন জ়িনাত।
সোশ্যাল মিডিয়ার লম্বা পোস্টে জ়িনাত যা লিখেছেন, তার সারমর্ম এই, “ঝুলে আসা চোখের পাতার কারণে মানুষ আমাকে অযাচিতভাবে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছিল। আমি হয়ে উঠেছিলাম পরনিন্দা, পরচর্চার বিষয়। আমাকে নিয়ে খুব গসিপ হত। এ বছর মে মাসে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে চিকিৎসা করাই চোখের।”
জ়িনাত লিখেছিলেন, “৪০ বছর ধরে ঘরের মধ্যে একটি হাতির সঙ্গে বাস করছিলাম আমি। এবার সেই হাতিকে দরজা দেখিয়ে দিয়েছি। বহু বছর আগে আঘাত পেয়েছিলাম। সেই আঘাতের চিহ্ন হিসেবে আমার চোখে পিটোসিস নামের এই অসুখ হয়। যতদিন এগিয়েছে, সমস্যা আরোও বেড়েছে। ঝুলে পড়েছে চোখের ডান চোখের পাতা। এই সমস্যার কারণে আমি দেখতে পেতাম না। অভিনয় করতে অসুবিধে হত। অনেক কাজ থেকে বাদও পড়েছিলাম।” তবে এই সমস্যার কারণে কখনও হীনমন্যতায় ভোগেননি জ়িনাত। তার কারণ পাশে ছিলেন কাছের বন্ধুরা। তাঁরা কোনদিনও জ়িনাতকে হেরে যেতে দেননি।
২০১৯ সালে আশুতোষ গোয়ারিগার পরিচালিত ‘পানিপথ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন জ়িনাত। তারপর পাঁচ বছরের বিরতি নিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে শুরু করেছেন ‘বানটিক্কি’ নামের একটি ছবির কাজ। যার প্রযোজক ফ্যাশন ডিজ়াইনার মণীশ মালহোত্রা।