নিজের ছবি মুক্তির দিন কী করতেন উত্তম কুমার? জানলে চমকে যাবেন…
উপার্জন করলেও, উত্তমের ব্যয় ছিল বিপুল। সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরাই বলেন, উত্তমকুমারের কাছে কেউ যদি অর্থাভাবের কথা বলতেন, তিনি সঙ্গে-সঙ্গে টাকা বের করে দিয়ে দিতেন। বন্যার সময় ত্রাণ তহবিলের জন্য নিজেই টালিগঞ্জের রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকাও তুলেছিলেন।

রুপোলি পর্দায় তাঁর ক্রেজ় কমে যাবে, এই আশঙ্কায় লোকের সামনে আসতেন না উত্তমকুমার। সহ-অভিনেতাদের ধমক দিতেন জোর গলায়। উত্তমকুমার সিনেমায় থাকা মানে সিনেমা হিট। তাই তাঁকে যে কোনও মূল্যের বিনিময়ে সিনেমায় কাস্ট করতেন প্রযোজকেরা। ছবি পিছু কত টাকা পারিশ্রমিক নিতেন উত্তম, জানেন?
তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় আসার পর একটি স্ক্রিন নাম হল–উত্তমকুমার। এই নামের যথার্থতা বজায় রেখেছেন উত্তম। বাংলা সিনেমা জগতের সর্বকালের ‘উত্তম’ সুপার তারকা হিসেবে শীর্ষ আসনে বসে আছেন মহানায়ক। অনেকেই মনে করেন, সেই সিংহাসনে কখনও কেউ বসতে পারবে না। উত্তমকুমারের জনপ্রিয়তা আজও গগনস্পর্শী। তাঁকে সামনাসামনি খুব কম মানুষ দেখেছেন। প্রতি ছবি পিছু লাখ-লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন উত্তম। সেই সময় ছবি পিছু তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ৪-৫ লাখ টাকা। এই সময় দাঁড়িয়ে তা হবে এক কোটি টাকার কাছাকাছি।
উপার্জন করলেও, উত্তমের ব্যয় ছিল বিপুল। সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরাই বলেন, উত্তমকুমারের কাছে কেউ যদি অর্থাভাবের কথা বলতেন, তিনি সঙ্গে-সঙ্গে টাকা বের করে দিয়ে দিতেন। বন্যার সময় ত্রাণ তহবিলের জন্য নিজেই টালিগঞ্জের রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকাও তুলেছিলেন। তবে ছবি নিয়ে কখনই তিনি বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকতেন না। যেদিন ছবি মুক্তি পেত, সেদিন চিন্তায় ডুবে থাকতেন তিনি। শুট থাকলেও মন দিতে পারতেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওঁর কাছে খবর আসত, ছবি নিয়ে কে কী বলছেন, হাউসফুল হয়েছে কি না। খবরটা শুনে তবেই তিনি সেটে আসতেন।





