দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের নাতনি বাংলা ছবির এই অভিনেত্রী, চিনুন তাঁকে

Guess The Actress : দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতকে অনেকেই চেনেন। তাঁকে নিয়ে তৈরি বাংলা ছবি 'দাদাঠাকুর ' অনেকেই দেখেছেন। তবে তাঁর প্রনাতনি এখন বাংলা ছবির অভিনেত্রী, সেটা অনেকেই জানেন না। কে সেই অভিনেত্রী?

দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের নাতনি বাংলা ছবির এই অভিনেত্রী, চিনুন তাঁকে
দাদাঠাকুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2024 | 5:06 PM

সম্প্রতি ‘সূর্য ‘ ছবি মুক্তি পেয়েছে। শিলাদিত্য মৌলিকের পরিচালনায় বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে দাদাঠাকুরের প্রনাতনি অভিনেত্রী মৌমিতা পণ্ডিতকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে বেশকিছু ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছেন দর্শক। সেই তালিকায় রয়েছে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘একটু সরে বসুন’ও। দাদাঠাকুরের পঞ্চম প্রজন্ম মৌমিতা পণ্ডিত। টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে তিনি শেয়ার করলেন দাদাঠাকুর সম্পর্কে নানা অজানা কথা।

ছোটবেলায় আজিমগঞ্জের স্কুলে পড়তে-পড়তেই নিজের পারিবারিক লেগেসির কথা জানতে পারেন মৌমিতা। বিষয়টিতে গর্বিত হলেও, দুঃখিত হন অভিনেত্রী। তাঁর আক্ষেপ, নতুন প্রজন্ম সেইভাবে কিছুই জানেন না দাদাঠাকুর সম্পর্কে। তবে আশার কথা এটাই, প্রতিবেশী বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দাদাঠাকুরের সৃষ্টি নিয়ে চলছে গবেষণা। তিনিও সেই গবেষণার অংশ হতে পেরে গর্বিত। পশ্চিমবঙ্গ ‘প্যালিন্ড্রোম ‘ শব্দ নিয়ে বিশেষ কিছু না জানলে,ও বাংলাদেশে রীতিমত চর্চা হয়। মৌমিতা নিজেও বাংলায় ‘প্যালিন্ড্রোম’ লিখতে চেষ্টা করেছেন।

মৌমিতা নিজে দাদাঠাকুরকে না দেখলেও তাঁর বাবা, জেঠা ও ঠাকুমাদের থেকে বহু মজার ঘটনা জানতে পেরেছেন। যেমন, দাদাঠাকুর তাঁর ঠাকুমাকে যখন দেখতে যান, রূপ নয়, দেখেন হবু বউমার সাহস ও মেধা। এ ব্যাপারে মৌমিতা জানান, দাদাঠাকুরের প্রিয় খাবার ছিল থোড় ও লালতার শাক। পণ্ডিত পরিবারে আজও সংস্কৃত ভাষার চর্চা চলে। সেই কারণে মৌমিতাকেও সংস্কৃত ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে হয়েছে।

মৌমিতা জানান, তাঁর দাদুর টাংটুইস্টার আজও থিয়েটার চর্চা ও সিনেমার কাস্টিয়ের সময় বলতে বলা হয়। তবে কেউই জানেন না এগুলি কার সৃষ্টি। নিজেও এই রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন মৌমিতা। তাঁকে মুখস্থ বলতে বলা হয়েছিল একটি টাংটুইস্টার–“কীর্তন মঞ্চ পড়ে পঞ্চম নর্তকী” । মৌমিতা যখন বলেন এটি তাঁর দাদুর লেখা, অনেকেই বিশ্বাস করেননি। এছাড়াও, দাদাঠাকুরের লেখা টাকার একশো আটটি নাম নিয়ে এটি ছড়া লেখেন। পরবর্তী সময়ে এই নিয়ে গানও তৈরি করেছিলেন।

দাদাঠাকুরের লেখা’ বোতল পুরাণ’ এখন খুব বেশি পাওয়া যায় না, তবে কলেজ স্ট্রিটের একটি দোকান যত্ন সহকারে দাদাঠাকুরের বই প্রকাশনা করে।

আজ জঙ্গিপুরে দাদাঠাকুরের প্রেস অযত্নে পড়ে আছে। তবে মৌমিতা জানান, আগামী দিনে তিনি দাদাঠাকুরকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করবেন। মৌমিতা আরও জানান, দাদাঠাকুরের হাতের লেখা, ছড়া, ব্যবহৃত জিনিস, তাঁর ছবি সযত্নে রেখেছেন। মৌমিতার মতে, তিনিও তাঁর দাদুর মতোই স্পষ্টবাদী। তাই কাজের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও হয় তাঁর।

দাদাঠাকুরকে নিয়ে ছবি তৈরির পরিকল্পনা করছেন মৌমিতা। তাঁর আগেই তাঁর পরিচালিত প্রথম সর্বভারতীয় একটি প্রজেক্ট আসতে চলেছে। এখনও কথা বলার মতো সময় হয়নি তা নিয়ে। এছাড়াও, বাংলায় বহু কাজ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করে ফেলেছেন।

মৌমিতা পণ্ডিত।