ওপেনিং উইকেন্ডে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’-এর বক্স অফিস কালেকশন ২৮৩ কোটি টাকা, ব্যবসায় মন্দা, বলছেন নির্মাতারা
নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে মোট ৩২টি জায়গায় রিলিজ হয়েছিল এই ছবি।
করোনা আবহেই রিলিজ হয়েছিল ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’। বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ৩৮.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে এই ছবি। ভারতীয় মুদ্রায় ব্যবসার পরিমাণ ২৮৩ কোটি টাকা। নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে মোট ৩২টি জায়গায় রিলিজ হয়েছিল এই ছবি। তবে ভারতে এখনও রিলিজ হয়নি এই ছবি। ক্রিসমাসের সময় চলতি সপ্তাহেই ভারতে রিলিজ হবে ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’।
ছবির নির্মাতা ডিসি ফিল্মসের দাবি ৩২টি জায়গায় রিলিজ করার পর সেই তুলনায় ব্যবসা করতে পারেন ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’। নির্মাতারা এও জানিয়েছেন যে অতিমারী করোনার কারণে ইউরোপের মার্কেটে এখনও রিলিজই করা যায়নি এই ছবি। সেই কারণেও ব্যবসায় খানিকটা মন্দা রয়েছে। আর যেসব দেশে ইতিমধ্যেই ছবি রিলিজ হয়েছে সেখানেও অনেক জায়গাতেই এখনও সিনেমা হল বন্ধ। বাকি হল গুলিতে দর্শক সংখ্যা কমানো হয়েছে। এছাড়া করোনা আতঙ্কে অনেকেই এখনও আগের মতো সহজ-সাবলীল ভাবে সিনেমা দেখতে হলে যাচ্ছেন না। এইসব কারণেই বক্স অফিসে সেভাবে এখনও সাফল্য পায়নি ‘ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪’।
যদিও রিলিজের পর থেকে হলিউডের এই ছবি এর মধ্যেই চিন (১৩৮ কোটি টাকা), তাইওয়ান (২৬.৫ কোটি টাকা), তাইল্যান্ড (১৪.৭ কোটি টাকা), ব্রাজিল (১২.৫ কোটি টাকা), জাপান (১১.৭ কোটি টাকা) এবং মেক্সিকোতে ( ১১.৭ কোটি টাকা)-র ব্যবসা করেছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ২৪ ডিসেম্বর হাঙ্গেরি, ভারত এবং স্লোভেনিয়া, ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ ক্রিসমাসের দিন কানাডা, কলম্বিয়া, ফিনল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে, সুইডেন, ভেনেজুয়েলা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর ২৬ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে রিলিজ হবে এই ছবি। ২৫ তারিখ থেকে ক্রিসমাস স্পেশ্যাল হিসেবে এইচবিও ম্যাক্স-এও দেখা যাবে এই সিনেমা। বছর শেষে এতগুলো দেশে রিলিজ জওয়ার ফলে ছবির ব্যবসার পরিমাণ বাড়বে বলেই মনে করছেন ফিল্ম ক্রিটিকরা।