সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভাসমান অবস্থায় সিনেমা দেখার সুযোগ!
সিনে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের সাহায্যার্থেই এভাবে ভাসমান অবস্থায় সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অতিমারির (covid 19) প্রভাব এখনও কাটেনি। বিশ্বজুড়ে মানুষ করোনার ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবুও নিউ নর্মালে বেশ কিছু কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই অতিমারির ফলে যে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করা বেশ কঠিন। সিনেমার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের ক্ষতি অপরিসীম। এখনও পর্যন্ত সিনেমা হল খুললেও ব্যবসা লাভজনক হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে। তাই এবার ফিলিপিনস (Philippine) গন্ডোলায় (Gondola) বসে দর্শকদের সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করা হল। ভাসমান অবস্থায় সিনেমা দেখার সুযোগ এই প্রথম পেলেন সিনেপ্রেমীরা।
ফিলিপিনসের কিছু সিনেপ্রেমী দীর্ঘ করোনা হানায় ক্লান্ত। এতদিন ধরে বড়পর্দায় সিনেমা দেখা হয়নি। এখনও সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সমস্যা রয়েছে। তাই গন্ডোলায় বসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বড় স্ক্রিনে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করলেন তাঁরা। নির্দিষ্ট পোশাক পরে চালকরা গন্ডোলা গুলিকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রেখেছিলেন। দীর্ঘ নয় মাস লকডাউনের পরে সিনেমা দেখার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি সিনেপ্রেমীরা।
এক একটি গন্ডোলায় দু’জন দর্শকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি গন্ডোলার মধ্যে এক মিটার দূরত্ব থাকা আবশ্যক। এই অভিনব পদ্ধতিতে সিনেমা দেখার খরচ একটু বেশি হবে, সে তো স্বাভাবিক। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে অডিও ব্রডকাস্ট দর্শক শুনতে পাবেন হেডফোনের মাধ্যমে। এই হেডফোন তাঁদের নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন, জিতলেন জিৎ, একদিনের জন্য দ্বিতীয় স্থানে যশ! কিন্তু কীসে?
সিনে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের সাহায্যার্থেই এভাবে ভাসমান অবস্থায় সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিমারির পরিস্থিতিতে তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। সে কারণেই খোলা জায়গায় সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করে কিছুটা সুরাহার চেষ্টা চলছে। গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সে দেশের সিনেমা হল। গত জুন থেকে ধীরে ধীরে কিছু ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু সিনেমা হল এখনও খোলেনি। তাই গন্ডোলায় বসে সিনেমা দেখাই সিনেপ্রেমীদের একমাত্র পথ।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে অমিত শাহ পর্যটক, টুইটারে কটাক্ষ নুসরতের