জাহ্নবীর ইনস্টা স্টোরিতে ফিরে এলেন ইরফান খান!
রবিবার রাতে পার্টি নয়, শ্রীদেবী কন্যার সময় কেটেছে ইরফান অভিনীত ছবি 'লাইফ ইন এ মেট্রো' দেখেই। সেই ছবির কিছু ক্লিপিংস অভিনেত্রী শেয়ার করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিন কয়েক ইরফান-হীন বলিউডের এক বছর পূর্তি হয়েছে। ইরফানের মৃত্যুবার্ষিকীতে জাহ্নবীর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়নি কোনও পোস্ট। কিন্তু তার পাঁচ দিন পর রবিবারের রাতে জাহ্নবীর ইনস্টা স্টোরিতে ফিরে এলেন ইরফান। তাঁর কৃষ্টির মধ্যেই দিয়ে আরও একবার ‘জীবিত’ হয়ে উঠলেন তিনি।
রবিবার রাতে পার্টি নয়, শ্রীদেবী কন্যার সময় কেটেছে ইরফান অভিনীত ছবি ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ দেখেই। সেই ছবির কিছু ক্লিপিংস অভিনেত্রী শেয়ার করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিতে স্পষ্টতই দৃশ্যমান ইরফানের হাসি মাখা মুখ। গত বছর ২৯ এপ্রিল ইরফানের দীর্ঘদিনের বন্ধু, পরিচালক সুজিত সরকার টুইটারে প্রথম জানিয়েছিলেন ক্যানসার আক্রান্ত ইরফানের প্রয়াণের খবর। এ বছর তাঁর মৃত্যুদিনে বাবাকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুলেছিলেন তাঁর ছেলে বাবিল। বাবিল জানাচ্ছেন, বাবার মৃত্যুর দু’দিন পর যখন সব শান্ত হল, মিটল হাসপাতালের যাবতীয় কাজকর্ম, শান্ত হল মিডিয়ার কৌতূহল– ভেঙে পড়লেন তিন। চোখের সামনে সব কিছু কেমন অন্ধকার…বন্ধ হয়ে যেতে লাগল। বাবিল বুঝতে পারলেন বাবা আর নেই। তাঁর কথায়, “জেগে থাকার কোনও তাগিদ নেই। বাঁচার ইচ্ছে নেই। মানসিক অবসাদ গ্রাস করছিল ক্রমশ। মরে যেতে ইচ্ছে করত। বেঁচে থাকাকে দুঃসহ মনে হতে লাগল।” এমন একটা সময়ে ছেলেকে আগলেছিলেন মা সুতপা। জানাচ্ছেন বাবিলই।
ইনস্টাগ্রামে বাবিল আরও লেখেন, “কেমো তোমাকে ভিতর থেকে পুড়িয়ে দিয়েছিল। সে কারণেই ছোট ছোট জিনিসে আনন্দ খুঁজে নিতে তুমি। নিজের টেবিল নিজেই তৈরি করা, নিজের জার্নাল লেখায় ব্যস্ত থাকতে কেমোর দিনগুলোতে। এই নিখাদ বিষয়টা এখনও পর্যন্ত আর কোথাও পাইনি। এই ঐতিহ্যটা আমার বাবার সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে।”