লতাকে গোপনে বিষ! গায়িকাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন কে?
Lata Mangeshkar: খোদ লতা মঙ্গেশকরই তা চাননি কখনও। অতীতে এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যাঁর জীবন সাধারাণের চোখে স্বপ্নের মতো, যাঁর জীবন সকলের কাছে এক কথায় আদর্শ, তিনি চাননি সেই জীবন ফিরে পেতে।
সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, যাঁকে নিয়ে আজও শ্রোতাদের মনে আক্ষেপ বর্তমান, গানের জগতে তিনি অমর। তাঁর প্রতিটা গান কালজয়ী। করোনা কেড়েছিল তাঁর প্রাণ। গোটা দেশ শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। রাতারাতি সুর হারিয়েছিল ভারত। আরও এক লতা মঙ্গেশকরের জন্ম কি সত্যি সম্ভব? লতা মঙ্গেশকর যদি আবারও জন্ম নেন তবেই হয়তো সম্ভব। তবে না, খোদ লতা মঙ্গেশকরই তা চাননি কখনও। অতীতে এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যাঁর জীবন সাধারাণের চোখে স্বপ্নের মতো, যাঁর জীবন সকলের কাছে এক কথায় আদর্শ, তিনি চাননি সেই জীবন ফিরে পেতে।
একবার জাভেদ আখতরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকর জানিয়েছিলেন, তিনি আর জন্ম নিতেই চান না। যদি জন্ম হয়, তবে পরের জন্মে তিনি কী হতে চান? প্রশ্ন করেছিলেন জাভেদ। উত্তরে লতা মঙ্গেশকর জানিয়েছিলেন, আমায় আগেও অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন। জন্ম না হলেই ভাল হয়। আর যদি সত্যি জন্ম হয়, তবে আমি লতা মঙ্গেশকর হয়ে জন্ম নিতে চাই না।
লতা মঙ্গেশকরের যা যন্ত্রণা, তা লতা মঙ্গশকরই জানেন। যা সকলের কাছে স্পষ্ট করে দেয়, এই সুরসম্রাজ্ঞীর জীবনেও কোনও না কোনও আক্ষেপ রয়েছে, কোনও না কোনও ক্ষোভ রয়েছে। জানেন কি একবার তাঁকে ধীরে ধীরে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল? ১৯৬২ সালে কেরিয়ারের মধ্যগগণে যখন লতা, তখনই ঘটে এই অঘটন। তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিন মাস ধরে তিনি ভীষণ অসুস্থ ছিলেন।
একদিন সকালে উঠে তিনি দেখেন তাঁর শরীরটাভীষণ খারাপ। পুরো সবুজ বমি করতে শুরু করেছিলেন তিনি। ডাক্তার এক্সরে মেশিন নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে যায়। তারপর পরীক্ষা করে জানা যায়, যে তাঁর বিষ খাওয়ানো হয়েছে। তখনই লতা মঙ্গেশরের বোন উষা স্থির করেন তিনি রান্না করবেন। এবং যিনি রান্না করতেন, তাঁকে মুহূর্তে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই অধ্যায় আতঙ্কের মতো ছিল গায়িকার কাছে।