কানে ফোন, মুখে দুষ্টু হাসি, ছবির এই খুদে কোন অভিনেত্রীর ছোটবেলা বলতে পারেন?
আন্দাজ করতে পারেন সে কে? আরও খানিক হিন্ট দেওয়া যাক। গত বছরই তাঁর ধারাবাহিকের কেরিয়ারের হাতেখড়ি হয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়েক মাস চলার পর হঠাৎ করেই লকডাউন করোনা ইত্যাদি চলে আসায় তাঁর সেই ধারাবাহিকের শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
পেল্লাই সাইজের মুঠো ফোন, ঝুঁটি বাঁধা চুল, দুষ্টুমি মাখা একগাল হাসি– যে খুদের ছবি দেখতে পাচ্ছেন সে কিন্তু এখনও খুদেই। শুধু বছর বেড়েছে বেশ কয়েক। আন্দাজ করতে পারেন সে কে? আরও খানিক হিন্ট দেওয়া যাক।
গত বছরই তার ধারাবাহিকের কেরিয়ারের হাতেখড়ি হয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়েক মাস চলার পর হঠাৎ করেই লকডাউন করোনা ইত্যাদি চলে আসায় তার সেই ধারাবাহিকের শুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যখন শুরু হল তখনও সে ইচ্ছে থাকলেও আএর ফিরে যেতে পারেনি সেই ধারাবাহিকে। কারণ, তার বয়স ছিল দশের কম। আর কোভিড স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দশ বছরের কম শিশুশিল্পীদের অভিনয়ে ছিল নিষেধ। যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই নতুন এক ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্র হয়ে ফিরে এসেছে সেই খুদে। সেখানেও বাজিমাত। তার স্পষ্ট উচ্চারণ, অভিনয় ক্ষমতায় তাজ্জব দর্শকরা।
এখনও বুঝতে পারেননি? ভাল করে ছবিটিতে তাকিয়ে দেখুন। ব্রোচ দিয়ে শাড়ি পরেছে সে। ঠিক এমন ভাবেই ব্রোচ দিয়ে শাড়ি সে পরত তার প্রথম ধারাবাহিকেও। তার প্রথম ধারাবাহিক অর্থাৎ ‘প্রথমা কাদম্বিনী’তে।
হ্যাঁ, ছবির ওই খুদে হল আপনাদের প্রিয় মেঘান চক্রবর্তী। যে কখনও কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটবেলা হয়ে আবার কখনও বা ‘ফেলনা’ হয়ে হাজির হয়েছে দর্শকের ড্রয়িংরুমে। রবিবার মেঘান চক্রবর্তীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তাঁর ছবি শেয়ার করে লেখা হয়, “বছর দুই তখন। ড. কাদম্বিনী গাঙ্গুলির মতই শাড়ী পরা ব্রোচ দিয়ে। বিনি তো হওয়ারই ছিল..”। নেহাতই কাকতালীয় নাকি পর্দার ‘বিনি’ তখন থেকেই স্বপ্ন দেখত অভিনেত্রী হওয়ার? প্রশ্ন তার ভক্তদেরও।