Buddhadeb Bhattacharjee No More: ‘নাহ্, কিছু বলার নেই’, প্রয়াত বুদ্ধদেব, খবর পেতেই শোকস্তব্ধ রূপা-শঙ্কর-মুনমুন…

Tollywood Reaction: খবর পৌঁছতেই টলিপাড়ার চোখের কোলে জল। কথা বলতে গিয়ে কারও কাঁপছে গলা, কেউ আবার শোকস্তব্ধ। স্মৃতির পাতায় ফিরতে চেয়েও কেউ কেউ ভেঙে পড়লেন মুহূর্তে।  TV9 বাংলার ফোন পেয়ে একই অবস্থা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, মুনমুন সেন ও শঙ্কর চক্রবর্তীর। 

Buddhadeb Bhattacharjee No More: 'নাহ্, কিছু বলার নেই', প্রয়াত বুদ্ধদেব, খবর পেতেই শোকস্তব্ধ রূপা-শঙ্কর-মুনমুন...
Follow Us:
| Updated on: Aug 08, 2024 | 3:55 PM

সুচরিতা দে ও জয়িতা চন্দ্র

প্রয়াত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ৮ অগাস্ট সকাল ৮.২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে দিক থেকে দিকে। চোখের জলে ভাসছে একাল-সেকাল। খবর পৌঁছতেই টলিপাড়ার চোখের কোলে জল। কথা বলতে গিয়ে কারও কাঁপছে গলা, কেউ আবার শোকস্তব্ধ। স্মৃতির পাতায় ফিরতে চেয়েও কেউ কেউ ভেঙে পড়লেন মুহূর্তে।  TV9 বাংলার ফোন পেয়ে একই অবস্থা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, মুনমুন সেন ও শঙ্কর চক্রবর্তীর।

মুনমুন সেন–(অভিনেত্রী) আমি যেটুকু চিনতাম ভদ্র লোককে, সত্যিকারের জেন্ট্যালম্যান ছিলেন। আমাদের নন্দনে দেখা হত, মিটিং-এ যেতাম, তখনই দেখতাম ওনাকে। আর ওনার বিষয় খারাপ বলার তো কিছু নেই, বিরোধী দল থেকে শুরু করে কেউ আমার মনে হয় না কিছু বলবেন ওনার বিষয়। জ্যোতিবাবু যা করে গিয়েছেন, উনি তার থেকে এক পা এগিয়ে ছিলেন। কলকাতার উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ, ইচ্ছে, স্বপ্ন ছিল ওনার। হয়তো শরীরের জন্যে উনি পারেননি। বামপন্থী কমিউনিস্ট-এর সঠিক সংজ্ঞা ছিলেন বুদ্ধবাবু।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়–(অভিনেত্রী) কিছু বলার নেই। অনেকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন, আবার সুস্থও হয়েছেন। কাল কি এমন কিছু ঘটেছিল? হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল? (উদ্বেগ প্রকাশ করে জানতে চান রূপা) উত্তরে আমাদের প্রতিনিধি ‘না’ জানাতে তিনি প্রশ্ন করলেন, ‘বাড়িতেই? ও?’ কিছুটা থেমে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে দেখা করার ইচ্ছে ছিল। পারিনি। সুযোগ পাইনি।’ আবারও কিছুটা থেমে… ‘নাহ্ কিছু বলার নেই। উনি আমাদের কাজে ভীষণ সাহায্যে করতেন। নন্দনে যখন আমরা কাজ করতাম, তখন মাঝে মধ্যে ওনার সঙ্গে দেখা হত। আমার গানের সিডিটা ওনার খুব ভাল লাগত। বলেছিলেন দু-একবার। … এই।’

শঙ্কর চক্রবর্তী–(অভিনেত্রী) আমি এইমাত্র শুনলাম। রিহার্সালে ছিলাম। কী বলব, মানে খুবই দুঃখের বিষয়। যদিও উনি ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। চোখের দৃষ্টি প্রায় ক্ষীণ হয়ে আসছিল। পড়তে পারছিলেন না। ওনার পড়া তো খুব নেশা ছিল। যাই হোক, একটা অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। অত্যন্ত দুঃখ জনক ঘটনা। উনি পার্টির বিরুদ্ধে গিয়ে করতে চেয়েছিলেন। সেটাই ওনার কাল হয়েছিল আর কি। এ ক্ষতি তো পূরণ হওয়ার নয়।