Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভোটের আগেই পাপিয়া অধিকারীর নেতৃত্বে টলিপাড়ায় স্বশাসিত সংগঠন; নতুন সমীকরণ ইন্ডাস্ট্রিতে?

প্রাক-ভোটপর্ব শুরু হতে না-হতেই গেরুয়া রং টলিপাড়ায়। স্বশাসিত সংগঠন হিসেবে রেজিস্ট্রেশন-পর্ব শেষ হল ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন’ (ইআইএমপিসিসি)-এর। সংগঠনের সদ্য মনোনীত সভাপতি পাপিয়া অধিকারী। ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও প্রভাব ফেলবে কি এই স্বশাসিত সংগঠন?

ভোটের আগেই পাপিয়া অধিকারীর নেতৃত্বে টলিপাড়ায় স্বশাসিত সংগঠন; নতুন সমীকরণ ইন্ডাস্ট্রিতে?
পাপিয়া অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2020 | 8:07 PM

প্রাক-ভোটপর্ব শুরু হতে না-হতেই গেরুয়া রং টলিপাড়ায়। স্বশাসিত সংগঠন হিসেবে রেজিস্ট্রেশন-পর্ব শেষ হল ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন’ (ইআইএমপিসিসি)-এর। ২০১৯-এ মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও আসানসোলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সু্প্রিয়র উপস্থিতিতে ঘোষিত হয় এই সংগঠনের নাম। যদিও শিলমোহর পড়েনি তাতে। ২০১৯-এই অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নাম ঘোষণা হয়েছিল আরও এক সংগঠনের: ‘বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ’। দিনকয়েক আগে রেজিস্ট্রেশনের কাজটি সেরে ফেলেছে ইআইএমপিসিসি। পাপিয়া অধিকারী বলেন, “কোনও রাজনৈতিক দল নেই আমাদের সঙ্গে। তবে ইন্ডাস্ট্রির এই অসহায়তার সময় যদি কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল পাশে এসে দাঁড়ায়, ভালই হয়। সঙ্গে এটাও বলতে চাই, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ হলেও যুক্ত হতে পারেন আমাদের সংগঠনে। সদস্য সংখ্যা ইতিমধ্যেই দু’হাজার ছাড়িয়েছে। আমি নিজেই একজন নতুন সদস্য।” তাঁর আরও সংযোজন, “তবে আমাদের মনে হয়েছে, কাউকে না-কাউকে আমাদের সাপোর্ট করতে হবে। না-হলে, রেজিস্ট্রেশনই আটকে যেত। এতবড় একটা কাজও করতে পারতাম না আমরা। এখন আমাদের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, প্যান কার্ড নম্বর এসেছে। সেটা কেন্দ্রের সাহায্যেই করতে পেরেছি। আমাদের ১৬-১৭জনের এগজিকিউটিভ বডিও তৈরি হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেই নামগুলো প্রকাশ্যে আনার মতো জায়গায় পৌঁছে যাব আমরা।”

EMPACC poster

ই আই এম পি সি সি-র ঘোষণা পত্র

কারা থাকছেন সেই এগজিকিউটিভ বডিতে? নাম উঠে আসছে বেশ কয়েকজনের। যেমন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রানী দত্ত, উত্তমকুমারের নাতনি অভিনেত্রী ও প্রযোজক নবমিতা চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী মৌবনী সরকার, অভিনেত্রী পুলকিতা ঘোষ প্রমুখ। হল মালিক, ডিস্ট্রিবিউটার, প্রযোজক, পরিচালক এবং টেকনিশিয়ন সকলকেই এক ছাতার তলায় রাখতে চাইছে এই স্বশাসিত সংগঠন। আরও একটি সংগঠন মানে কি আরও একটি বিভাজন? ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তর সাফ বক্তব্য, “কেউ যদি ইন্ডাস্ট্রির ভালর জন্য কোনও কাজ করতে চায়, করুক।” পিয়ার যদিও দাবি, তিনি এই সংগঠনের নাম আগে শোনেননি। তিনি আরও বলেন, “তবে দূর থেকে অনেক কথা বলা যায়। ফিজিক্যালি নেমে ব্যাপারটাকে দেখতে হবে। আমি সবসময় মনে করি, শিল্পকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। যে কোনও ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে যে কোনও দল করতে পারে। সেটা একান্তই তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।”

আরও পড়ুন :চিনতে পারছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রীর পুত্রকে? দেখুন ছবি

অন্যদিকে আর্টিস্ট ফোরামের অনেকে নামই শোনেননি ইআইএমপিসিসি র। তেমনটাই দাবি ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর, “এই সংগঠন সম্পর্কে আমার কিছু জানার নেই, কিছু বলারও নেই। এরকম সংগঠন থাকতেই পারে।” আর্স্টিস্ট ফোরামের সহকারী সচিব দেবদূত ঘোষের গলাতেও একই সুর। তাঁর দাবি, “ইআইএমপিসিসি সম্পর্কে আমি অন্তত কিছু শুনিনি। অফিশিয়ালি আমাদের এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে পাপিয়াদি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে যদি কোনও কাজ করেন, আমরা তাঁকে সমর্থনই করব। যদিও তাঁর সঙ্গে কারা কারা রয়েছেন, সেটা জানি না। উনি তো একা-একা কাজটা করতে পারবেন না।”