কালীমূর্তি মাটিতে ছুড়ে ফেলে ১০০ টুকরো! কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস টলে সায়নীর?

Saayoni Ghosh: একটা মৃত্যু আর তাতেই টলে গিয়েছিল ঘোষ পরিবার। সায়নীর দাদা সুমন জন্ম থেকেই কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত ছিলেন। ভীষণ ক্রিটিকাল দ্বিতীয় হার্ট সার্জারির পর ৯ দিন ধরে বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ভেন্টিলেটর, হাজার নল, যন্ত্রপাতির ভিড়ে কোনওরকমে ফেরানো হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে।

কালীমূর্তি মাটিতে ছুড়ে ফেলে ১০০ টুকরো! কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস টলে সায়নীর?
সায়নী ঘোষ।
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2024 | 6:36 PM

জয় এসেছে, হাসিমুখে সাংসদ হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন যাদবপুরের সদ্য বিজয়ী প্রার্থী তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। ভোটে জিতে ছুট্টে গিয়েছিলেন মহাদেবের কাছে। সদ্য হাতে পাওয়া শংসাপত্র অর্পণ করেছিলেন মহাদেবের পায়ে। তবে জানেন কি, বাড়িতে এমন কিছু ঘটেছিল তাঁর যাতে ঈশ্বরে বিশ্বাস টলে গিয়েছিল সায়নীর। বাড়িতে ৩০ বছরের পুরনো কালীমূর্তি ছুড়ে ভেঙে ফেলেছিলেন তাঁর বাবা! কী হয়েছিল?

একটা মৃত্যু আর তাতেই টলে গিয়েছিল ঘোষ পরিবার। সায়নীর দাদা সুমন জন্ম থেকেই কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত ছিলেন। ভীষণ ক্রিটিকাল দ্বিতীয় হার্ট সার্জারির পর ৯ দিন ধরে বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ভেন্টিলেটর, হাজার নল, যন্ত্রপাতির ভিড়ে কোনওরকমে ফেরানো হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে। কোনও এক ২৯ জুলাই দাদাকে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছিলেন ওঁরা। কিন্তু তিন দিন পরেই ম্যাসিভ এক হার্ট অ্যাটাকের মারা গিয়েছিলেন তিনি। সায়নীর কথায়,” এই ঘটনার পর ঈশ্বরে বিশ্বাস অনেক নড়ে গেছিল, মা সব ঠাকুরের ছবি সরিয়ে দিয়েছিল, দাদার দেহের পাশে বাবাকে দেখেছিলাম ৩০ বছর পুরোনো মা কালির মূর্তি , যাকে না খাইয়ে বাবা অন্ন গ্রহণ করতেন না, মাটিতে মেরে একশো টুকরো করে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলতে আজ থেকে আমার ছেলেও নেই, আমার মা ও নেই!”

চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু সহ্য করতে পারেননি সায়নীর বাবা! তবে ওই যে, শোক লালন করা বড়ই দুষ্কর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কষ্ট কাটিয়ে উঠেছেন তাঁরা। ঈশ্বরে বিশ্বাস আবারও ফিরেছেন। সায়নীর চার জনের পরিবারে আজ দুইজন সদস্য– বাবা ও তিনি। মা’কেও হারিয়েছেন মাস কয়েক আগেই। জয়ী হওয়ার পর দাদা ও মায়ের ছবি বুকে জড়িয়ে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। কোথাও গিয়ে চোখের কোণ কি চিকচিক করে উঠেছিল তৃণমূলের দুঁদে নেত্রীর?