সুজয় প্রসাদের উদ্যোগে শঙ্খ-স্মরণ, কবিতা পাঠে শর্মিলা ঠাকুর, মমতা শঙ্কর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পী

১৬ মে ঠিক ৯ টায় শঙ্খ-স্মরণ হবে ভার্চুয়াল। শর্মিলা ঠাকুর, মমতা শঙ্কর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,লোপামুদ্রা মিত্র,সোহিনী সেনগুপ্ত, কেউ বাদ নেই! সবাই সুজয়ের ডাকে এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছেন।

সুজয় প্রসাদের উদ্যোগে শঙ্খ-স্মরণ, কবিতা পাঠে শর্মিলা ঠাকুর, মমতা শঙ্কর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ বহু বিশিষ্ট শিল্পী
শর্মিলা-সুজয়-ঋতুপর্ণা
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2021 | 3:49 PM

২১ এপ্রিল ভারতীয় সাহিত্যে মহীরুহ পতন ঘটেছিল। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চির বিদায় নিয়েছিলেন শঙ্খ ঘোষ। বাংলা তথা ভারতীয় কবিতার জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। কিন্তু কবির কি কখনও মৃত্যু হয়? কবিতার প্রতিটি শব্দে এবং নৈঃশব্দে ধিকি ধিকি বইতে থাকে কবির শ্বাসবায়ু। কবির মৃত্যু নেই। এক জন্ম থেকে আরেক জন্মে তিনি চলমান। এক অনন্ত যাত্রা। এই অসীম যাত্রাপথের পথিক এখন শঙ্খ ঘোষ। তাঁর এই যাত্রাপথে অঞ্জলি দিতেই সুজয় প্রসাদ চট্টেপাধ্যায় আয়োজন করেছেন এক স্মরণ সভার। নাম দিয়েছেন ‘স্পর্ধার জন্য’।

shankha 1

শঙ্খ ঘোষ

এখন করোনা কাল। সারা দেশকে সে গ্রাস করেছে নিজের উদরে। ১৬ মে ঠিক ৯ টায় তাই শঙ্খ-স্মরণ হবে ভার্চুয়াল। সুজয় প্রসাদের কথায়, “মানুষ আঙুল তুলতেই পারে, এ কি শিল্প করার সময়? আমি বলব  কোন সময়টা শিল্পের জন্য ঠিক,তা কে ঠিক করে দেবে? সময় ঠিক করে দেবে নাকি শিল্পই তার সময় বেচে নেবে? শিল্পের নিজের একটা গতিপথ আছে, সে সেই গতিপথের সময় ধরে চলে। আর শঙ্খ ঘোষের মত কবিকে তো সময় দিয়ে,কাল দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। আমার তো মনে হয় কোনও রাজনীতির রঙ ছাড়া ফ্যাসিজিমের বিরুদ্ধে যে ভাবে তিনি কলমে ঝড় তুলেছিলেন, সেটাই তো সব থেকে বড় মানবতাবাদ। আর এই সময় মানবতাবোধেরই তো সব থেকে বেশি প্রয়োজন।” সুজয়ের সঙ্গে শঙ্খ ঘোষের ব্যক্তিগত আলাপ যে খুব বেশি ছিল তা নয়। দু-একবার কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে মাত্র। সুজয়ের স্মৃতিচারণ, “একবার ভিক্টারিয়া মেমোরিয়্যালে একটি অনুষ্ঠানে আমি সঞ্চালনা করেছিলাম। শঙ্খবাবু উপস্থিত ছিলেন। অনেকদিন পরে আরেকটি অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে দেখা হলে তিনি নিজে আমায় ডেকে বলেছিলেন, ‘সেদিন তোমার বলা খুব ভাল হয়েছিল।” আলাপ বলতে এটুকুই। কিন্তু সুজয় যে তাঁর একনিষ্ঠ পাঠক।গুণমুগ্ধ। সেই জায়গা থেকেই দেশের তাবড় তাবড় শিল্পীদের একসঙ্গে জড়ো করেছেন তিনি। শর্মিলা ঠাকুর, মমতা শঙ্কর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,লোপামুদ্রা মিত্র,সোহিনী সেনগুপ্ত, কেউ বাদ নেই! সবাই সুজয়ের ডাকে এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছেন। সুজয়ের কথায়, “অনেকেই বলছে এ আমার পি আর স্কিল। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার নিজের স্তুতি গাওয়ার জন্য আমি এই স্মরণ-সভা করছি না। আমার সঙ্গে তো শর্মিলা ঠকুরের সেইঙাবে কোনও আলাপই নেই। তবু তো তিনি আমি একবার বলাতেই রাজি হলেন।কারণ মানুষটা শঙ্খ ঘোষ। আমি চাই এই স্মৃতিচারণ যেন কবি-সংরক্ষণের একটা অংশ হয়ে থাকতে পারে।”

আরও পড়ুন:মন খুলে গান গাইছেন সারাদিন, করোনা-মুক্ত হলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ

১৬ মে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে মালয়ালি কবি ও স্কলার কে. সচ্চিদানন্দনের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শঙ্খবাবাবুর একদা ছাত্রী এবং পরিচিত মিডিয়া পার্সোনালিটি চৈতালি দাশগুপ্ত স্মৃতিচারণ করবেন। সম্পাদক ও লেখক অরুণাভ সিনহা এবং সুবোধ সরকার অনুবাদে তাঁর লেখা পড়বেন। শঙ্খবাবুর কবিতা উদযাপন করবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব সোহিনী সেনগুপ্ত, বাচিকশিল্পী বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ, প্রণতি ঠাকুর , মধুমিতা বসু, অভিনেত্রী সোহিনী সরকার,অনন্যা চট্টোপাধ্যায় , নন্দনা সেন, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর, প্রখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং কিংবদন্তি শর্মিলা ঠাকুর।এই স্মৃতিসন্ধ্যায় রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করবেন প্রমিতা মল্লিক, লোপামুদ্রা মিত্র,প্রবুদ্ধ রাহা, জয়তী চক্রবর্তী, রোহিনী রায় চৌধুরী, শ্রবন্তী বসু বন্দোপাধ্যায়, সুছন্দা ঘোষ, রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় এবং ঋতপা ভট্টাচার্য্য । অনুষ্ঠানটির সমগ্র পরিকল্পনায় সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।