আর ‘সিটি অব জয়’ নয় কলকাতা! নতুন নামকরণ নিয়ে চাঁচাছোলা শ্রুতি
Shruti Das: এতদিনের পুরনো শহরটা হঠাৎ করেই যেন বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে চেনা মানুষগুলো। বদলে যাচ্ছে পরিবেশও। আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। আবারও চুপ করে রইলের না তিনি। প্রিয় শহরের এই পরিবর্তনে তিনি শঙ্কিত। বহির্বিশ্বের কাছে এ যাবৎ কলকাতা পরিচিত ছিল 'সিটি অব জয়' অর্থাৎ আনন্দের শহর হিসেবে।
এতদিনের পুরনো শহরটা হঠাৎ করেই যেন বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে চেনা মানুষগুলো। বদলে যাচ্ছে পরিবেশও। আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। আবারও চুপ করে রইলের না তিনি। প্রিয় শহরের এই পরিবর্তনে তিনি শঙ্কিত। বহির্বিশ্বের কাছে এ যাবৎ কলকাতা পরিচিত ছিল ‘সিটি অব জয়’ অর্থাৎ আনন্দের শহর হিসেবে। কিন্তু কোথায় আনন্দ? বিগত বেশ কিছু দিন ধরে যা যা ঘটেছে তাতে শহর ভুলেছে তার চেনা ছন্দ। চারিদিকে শুধু আতঙ্কে মোড়া কালো চাদর।
শ্রুতির মতে এই শহরের নাম-মেজাজ সবই যেন বদলে গিয়েছে আচমকাই। এই শহর আজ তাঁর কাছে ‘সিটি অব ফিয়ার’ অর্থাৎ কিনা ভয়ের শহর। প্রথম দিন থেকেই আরজি কর কাণ্ডে মাঠে নেমে প্রতিবাদ করেছেব শ্রুতি। কিছু দিন আগেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা যখন আউটডোর করি, শুটিং করে যখন মেকআপ ভ্যানের ভিতর একা বসে থাকি তখন তো স্টুডিয়োর একটা দারোয়ান এসে রেপ করে দিয়ে চলে যেতে পারে। তাহলে কি আমরা শুটিং করা বন্ধ করে দেব? আমরা যারা টেলিভিশন আর্টিস্ট তাঁদের প্রত্যেক দিন কাজ করতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তার দায় কে নেবে? আমি অত বড় সেলিব্রিটি নই আমার পিছনে দশটা বাউন্সার ঘোরে না।” এই প্রশ্নের জবাব নেই। ঠিক যেমন এতদিন কেটে যাওয়ার পরেও তিলোত্তমার দোষীরা পড়েনি ধরা। শ্রুতির কথায়, “এই যা দেখছি তাতে একটুও আশাবাদী নই। রাত দখল করেছি এবার দিনের বেলাতেও পথে নামব।
জনজীবন স্তব্ধ করে দেব, কাউকে কাজে যেতে দেব না। না খেতে পেয়ে মরব, পুরো রাজ্যের লোক না খেতে পেয়ে মরবে সেই দিন দেখব কার চোখ খোলে।” সত্যি বলেছেন তিনি। মৌচাকে ঢিল পড়তে পারে তাও জানেন। তবে চুপ করে থাকা নয়। তাঁর সাফ জবাব, “আমায় যদি মেরে দেয় তাহলে আমার বাড়ির লোক কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। কার বাবার ক্ষমতা আছে টাকা পয়সা দিয়ে মুখ বন্ধ করানোর সেদিন আমরাও দেখে নেব।”