‘সবাইকে হাঁটতে হবে রে সন্তু’, বিচার চেয়ে মিছিলে এবার কাকাবাবু-ফেলুদা! সৃষ্টিতের পোস্টে…

Feluda-Kakababu: একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এলেও সিবিআই-এর পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এবার নাগরিক মঞ্চ থেকে ডাকা হল মিছিল। যার প্রচারে অংশ নিয়েছেন, সোহিনী সরকার থেকে শুরু করে সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকছেন ফেলুদা-কাকাবাবুও?

'সবাইকে হাঁটতে হবে রে সন্তু', বিচার চেয়ে মিছিলে এবার কাকাবাবু-ফেলুদা! সৃষ্টিতের পোস্টে...
Follow Us:
| Updated on: Aug 30, 2024 | 3:18 PM

তিলোত্তমার বিচার চেয়ে পথে পথে মিছিল। গোটা রাজ্য জুড়ে এখন একটাই দাবি, দোষীদের শাস্তি চাই। তবে দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে বেশ কটাদিন। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এলেও সিবিআই-এর পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এবার নাগরিক মঞ্চ থেকে ডাকা হল মিছিল। যার প্রচারে অংশ নিয়েছেন, সোহিনী সরকার থেকে শুরু করে সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকছেন ফেলুদা-কাকাবাবুও? সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পোস্ট তাই নজর কাড়ল সকলের। যেখানে তিনি দুটো ফ্রেম শেয়ার করলেন, যেখানে একটাতে দেখা গেল ফেলুদা, তোপসে ও লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়কে।

যেখানে ফেলুদা বলছেন– ‘হিসেব মিলছে না! মহা মিছিলে যাওয়া দরকার।’ অপর ছবিটিতে দেখা গেল কাকাবাবু ও সন্তুকে। যেখানে সন্তু প্রশ্ন করছে– ‘কাকাবাবু তমি পারবে এতটা পথ হেঁটে যেতে?’ কাকাবাবু উত্তরে বলেন, ‘মহা মিছিলে আমাদের সবাইকে হাঁটতে হবে রে সন্তু। দোষীগুলো এখনও মশা মাছির মতো ঘুরছে…।’ প্রসঙ্গত, ১ সেপ্টেম্বর দুপুর তিনটে কলেজ স্কোয়ার থেকে বেরবে এই মিছিল। আর সেখানে থাকছে ১১ দফার দাবি।

কী কী দাবি রাখা হবে সেই মিছিলের মাধ্যমে?

প্রথমত, ‘সিবিআইকে আর জি করের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক-বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দায়িত্বহীনতা এবং সেই সময়ে ঘটনাস্থলে তথ্য-প্রমাণ নষ্টের চেষ্টার জন্য তাকে ও বাকি দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণ ও খুনের নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেটরাজ সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।

তৃতীয়ত, দিনে ও রাতে যেকোন সময়ে, গণপরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার চাই।

চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণ নয়, নজরদারি নয়, কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের সমমর্যাদা চাই।

পঞ্চম, স্কুলপাঠ্যে লিঙ্গ-সাম্যর এবং মানবাধিকার বিষয়গুলিকে আবশ্যক করতে হবে।

ষষ্ঠ, প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আই সি সি ও স্থানীয় এলাকায় এল সি সি করতে হবে এবং তা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ রাখতে হবে।’

‘সপ্তম, রাজ্যে সর্বত্র সুলভ শৌচাগার ও সুরক্ষিত গণ পরিবহন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে ২৪ ঘন্টা।

অষ্টম, রাতে হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের জন্য সুরক্ষিত বিশ্রামাগার চাই।

নবম, ফাস্টট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে অমীমাংসিত ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার কেসগুলির অতি দ্রুত মীমাংসা করতে হবে।’

‘দশম, ভিকটিম ব্লেমিং কাকে বলে, স্পষ্ট করে জানাতে হবে ও সেটিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এবং সবশেষে সর্বোপরি, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি নিঃশর্তভাবে মানতে হবে।’