RG Kar Protest: ‘ভয় পেয়েছে বলে দেরি করেনি তো?’ তিলোত্তমা কাণ্ডে এবার কাদের হয়ে সুর চড়ালেন স্বস্তিকা

Swastika Mukherkee: যাঁরা এই বিষয় এখনও মুখ খোলেননি, পাশে দাঁড়াননি, বা দেরি করে এসে যোগ দিয়েছেন, সচেতনভাবে মুখ খুলেছেন, যাঁদের কটাক্ষের শিকারও কম হতে হচ্ছে না। পড়তে হচ্ছে ট্রোলের মুখে। কিন্তু কেন, কেন কিছু শ্রেণির এই প্রশ্ন? এবার তাঁদের হয়েই সরব হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। 

RG Kar Protest: 'ভয় পেয়েছে বলে দেরি করেনি তো?' তিলোত্তমা কাণ্ডে এবার কাদের হয়ে সুর চড়ালেন স্বস্তিকা
Follow Us:
| Updated on: Aug 20, 2024 | 3:37 PM

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিলোত্তমার নৃশংসতা সামনে আসার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে রেখেছেন। এ লড়াই সকলের। একে থামতে দেওয়া যাবে না বলেই বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলছেন একশ্রেণি। আর ওপর শ্রেণি! তাঁরা কোথায়? যাঁরা এই বিষয় এখনও মুখ খোলেননি, পাশে দাঁড়াননি, বা দেরি করে এসে যোগ দিয়েছেন, সচেতনভাবে মুখ খুলেছেন, যাঁদের কটাক্ষের শিকারও কম হতে হচ্ছে না। পড়তে হচ্ছে ট্রোলের মুখে। কিন্তু কেন, কেন কিছু শ্রেণির এই প্রশ্ন? এবার তাঁদের হয়েই সরব হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় করলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। তিনি লিখলেন, ‘কে কীভাবে প্রতিবাদ করবে, কে কতদিন দেরি করলো, কে কোন শব্দ ব্যবহার করলো, কে কোনটা এড়িয়ে গেল, কে কে নেই, কে কে আছে… সবকিছু গুরুত্বপুর্ণ, অসম্ভব গুরুত্বপুর্ণ। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুলে না যাওয়া, মনে রাখা। স্মৃতিতে রাখা, দগদগে করে রাখা। যে কথা বলতে দেরি করলো, সে ভয় পেয়েছে বলে দেরি করেনি তো? এই ভয়ের কারণ কি? যে শব্দ নিয়ে খুবই সচেতন, সেও কি ভয়ের শিকার নয়? স্লোগান নিয়ে যার পিটপিতানি, সেই মানুষটা ভয়ে নিজেকে দোষ দিচ্ছে না তো? এই ভয়টা কিসের, এই ভয়টা কার? ভয়ের আবহাওয়া কে বা কারা তৈরি করে রেখেছেন এইটা যেন মনে রাখি আমরা। আমরা সবাই মিলে EXCLUSIVITY কে মাথানত করিয়েই ছাড়বো, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। INCLUSIVITY একমাত্র পথ, একসাথে থাকার, অন্যের কথা শোনার (উত্তর দিতে চাই বলে নয়, শুনবো বলেই শোনা), যে প্রান্তিক তার হয়ে লড়ার হুংকার যে আজ দিয়েছি আমরা, তা যেন অনুরণিত হতে থাকে রোজ।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লেখেন, ‘কোনোদিন যেন ভিকটিম কে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে না হয় যে কেনো এত বছর পর সে কথা বলছে তার উপর হওয়া নির্যাতন নিয়ে, ভিক্টিমের পোশাক নিয়ে যেন আর কোনোদিন আমরা ব্যতিব্যস্ত না হয়ে পড়ি, ভিকটিম ব্লেমিং দেখলেই যেন আমরা সোচ্চার হই, আর যেই আমাদের ভয় দেখাবে তাকে যেন নাকানিচুবানি খাওয়াতে যেন না ভুলি, প্রশ্ন করতে না ভুলি।’