Arijita Mukhopadhyay: মা-ছেলের মধ্যে অতিরিক্ত আসক্তির কারণ জানার চেষ্টা করব: পর্দার ‘মাম্মাজ় বয়-এর মা অরিজিতা
Neem Phuler Madhu: 'মাম্মাজ় বয়' স্ত্রীদের সংসারে চলতে নানা সমস্য়া। বাস্তব জীবনে স্পষ্টবাদী অরিজিতা নিজে এই 'মাম্মাজ় বয়'দের কোনও নজরে দেখেন?
স্নেহা সেনগুপ্ত
মায়ের আঁচল ধরা ছেলে এ সংসারে বিরল নয়। ঘরে-ঘরে এর নিদর্শন পাওয়া যায়। কিন্তু বিয়ের পরও যদি কোনও ছেলে মায়ের আঁচল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে না পারে, অনেক মেয়েরই কপাল পোড়ে তখন। কিছুদিন হল একটি ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হতে শুরু করেছে টেলিভিশনের পর্দায়। সেই ধারাবাহিকের নাম ‘নিম ফুলের মধু’। একদা জনপ্রিয় ‘কে আপন কে পর’-এর ‘জবা’র (অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা) কামব্যাক হয়েছে তাতে। চরিত্রের নাম পর্ণা। তাঁর বিরপীতে সৃজণের চরিত্রে রুবেল দাস। যাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছে ‘যমুনা ঢাকি’ সিরিয়ালে। বলাই বাহুল্য, এঁরাই গল্পের নায়ক-নায়িকা। সিরিয়ালের অনেকখানি জুড়ে রয়েছে কৃষ্ণা, অর্থাৎ রুবেলের মায়ের চরিত্রটি। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন মঞ্চের অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। সৃজণ এখানে ‘মাম্মাজ় বয়’। তার কাছে মা-ই সবসময় ঠিক। এমনকী, ভুল করলেও মা ঠিক। এমন ধরনের ছেলেদের স্ত্রীদের সংসারে চলতে নানা সমস্য়া। বাস্তব জীবনে স্পষ্টবাদী অরিজিতা নিজে এই ‘মাম্মাজ় বয়’দের কোনও নজরে দেখেন?
TV9 বাংলাকে অরিজিতা বলেছেন, “আমি অবিবাহিত। কিন্তু সত্যিই যদি এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়ে কখনও, তা হলে আমি কথা বলে পরিস্থিতি সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমি আমার স্বামীকে বা সঙ্গীকে বলব, ‘আমি এর বাইরের তুমিটাকে ভালবেসেছি।’ আমি জানতে চাইব, মায়ের ছেলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি এবং ছেলের মাকে অন্ধের মতো সাপোর্ট করার ইতিহাসটা কী… তারপর আমি দু’জনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই অবসেশনের জায়গাটা কমানোর চেষ্টা করব।”
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম পরিচালিত বাংলা ছবি ‘ইচ্ছে’তেও এরকমই একটি বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছিল। সেই ছবির সঙ্গে কী মিল রেখেই গল্প এগোবে? অরিজিতা বলেছেন, “‘ইচ্ছে’তেও কিন্তু মা-ছেলের মধ্যে একটা অবসেশনের জায়গা ছিল। সত্যি বলতে গেলে, মা-ছেলের মধ্যে এই মাত্রাতিরিক্ত আসক্তির বিষয়টা অতি প্রাচীন ঘটনা। রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’তেও একই বিষয় পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া, ইডিপাস কমপ্লেক্স সম্পর্কেও আমরা অল্পবিস্তর সকলে জানি। ফলে এটা অত্য়ন্ত স্বাভাবিক ব্যাপারও। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে এটা অতিপরিচিত কাহিনি।”
অতিপরিচিত এবং নিত্যদিন সংসারে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার বুনটেই তৈরি হয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’। সামাজিক কিছু বিষয়কে প্রশ্ন করবে এই ধারাবাহিক। চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করবে ‘না ব্যক্ত’ করা কিছু কথাকে। যা আলাপচারিতার মাধ্যমে সহজেই মিটিয়ে ফেলা যেতে পারে। অরিজিতা বলেছেন, “আমার ধারণা ‘নিম ফুলের মধু’কে মানুষের বুঝতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু একবার যদি মানুষ বুঝে যায়, এই সিরিয়াল সমাজে পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। এই ধারাবাহিক লম্বা রেসের ঘোড়া…”