দাদা অঙ্ক কী কঠিন- বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর গানটি বড়ই যে সত্যি। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, অঙ্ক নিয়ে ভয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই। স্কুল ছাড়লেও অঙ্কভীতি যায়নি। এমনকি ব্যোমকেশও ভয় পান অঙ্ক। যতই তিনি দুঁদে সত্যান্বেষী হন না কেন! ভাবছেন কি বলছি? শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ অঙ্কে ভয় পান, এমন তো কখনও কোনও বইতে পড় নেই। তাহলে? না, ইনি বইয়ের ব্যোমকেশ নন, ইনি ব্যোমকেশ চরিত্রাভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী (Gaurav Chakrabarty)। এখন টলিউডে বহু ব্যোমকেশ। তবে টেলিভিশনে ব্যোমকেশ খুব হয়েছেন। বাসু চট্টোপাধ্যায় রজিত কাপুরকে দিয়ে ব্যোমকেশ যাত্রা শুরু করেন টেলিভিশনে। তারপর অনেকেই করেছেন সব মাধ্যমে ব্যোমকেশ।
২০১৪-১৫ সালে একটি বেসরকারি চ্যানেলে ব্যোমকেশ বক্সী চরিত্রে অভিনয় করেন গৌরব। তাঁর সত্যবতী হয়েছিলেন ঋদ্ধিমা। এখন বাস্তবেও তিনি গৌরব ঘরণী। সেলিব্রিটিরা বিভিন্ন সময়ে নানা ঘটনা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাগ করে নেন। গৌরবও প্রায় নিয়মিত নানা বিষয় নিয়ে ইনস্টা পোস্ট করেন। সদ্য এমনই এক পোস্টে তিনি একটি অঙ্কের কুইজে অংশ নিয়েছেন আর তাতে প্রায় নাজেহাল। পোস্টের সঙ্গে ক্যাপশনও দিয়েছেন তিনি। যাতে লেখা, “একটি বিষয় যা আমাকে পুরো স্কুলে যন্ত্রণা দিয়েছিল।সত্যিই মিশন ইম্পসিবল!”
View this post on Instagram
গৌরবের রাজর্ষী দে পরিচালিত ‘এবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ এই বছর মুক্তি পেয়েছে। এছাড়া রাজর্ষীরই পরিচালিত ছবি ‘মায়া’-তে দেখা যাবে তাঁকে। হাতে রয়েছে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ‘বিসমিল্লা’, সায়ন্তন ঘোষালের ‘টেনিদা অ্যান্ড কং’। গৌরব মানেই ভাল ছেলে। তাঁকে দেখতেও মিষ্টি। কিন্তু গৌরব চান নিজের ইমেজ ভাঙতে। গ্রে চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন তিনি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। ‘এবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবিতে ইমেজ ভেঙেছেনও। সেখনে তাঁর চরিত্রটি আপাতদৃষ্টিতে ভাল হলেও, আসলে রয়েছে গ্রে শেড। তবে আরও অন্য রকম ইমেজ ভাঙা চরিত্রে তিনি অভিনয় করতে চান। তাহলে ব্যোমকেশকে এবার কি পুরো খলনায়ক রূপে দেখতে চলেছেন দর্শক? অনুারাগীরা গৌরবকে নতুন রূপে দেখতে আগ্রহী। দেখা যাক কবে নতুন রূপে অবতীর্ণ হন তিনি। এই মিশন আশা করা যায় ইম্পসিবল হবে না!