Dibyajyoti Dutta: জখম দিব্যজ্যোতি দত্ত, অসুস্থ শরীরেও বিরতি নেই কাজে
Dibyajyoti Dutta:দিব্যজ্যোতি এই সিরিয়ালে এক ডাক্তারের চরিত্রে – ডঃ সূর্য সেনগুপ্ত। তার দুটি মেয়ে – সোনা এবং রুপা।
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ৯টা। তখনও পুরোদমে শুটিং চলছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র। টিআরপিতে প্রথম, তাই গুরুদায়িত্ব রয়েছে কাঁধে। আর সেই দায়িত্ব পালনেই জখম হয়েও কাজ চালিয়ে গেলেন তিনি। দিন দুয়েক আগে নাচ করতে গিয়ে আচমকাই পায়ে চোট লাগে তাঁর। টিভিনাইন বাংলাকে তিনি জানান, প্রথম হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার অর্থাৎ পায়ে চিড় ধরেছে ভাবলেও পরে জানা যায় ভেঙেছে পা। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্লাস্টার করান তিনি। প্লাস্টার পা নিয়েই কাজ! দিব্যজ্যোতির উত্তর, “কী করব? কাজ তো বাদ দিলে চলবে না”। গত বছর ঠিক এই সময়েই ওই ধারাবাহিকের সেটেই আঘাত লাগে দিব্যজ্যোতির। সে সময় তিনি বলেন, “আমি দৌড়চ্ছিলাম। শটে ডেকেছিল। বুঝতে পারিনি। কাঁসার ঘণ্টায় লেগে গিয়েছিল”। সে সময়ও শুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পেশাদারিত্ব বোধহয় একেই বলে।
দিব্যজ্যোতি এই সিরিয়ালে এক ডাক্তারের চরিত্রে – ডঃ সূর্য সেনগুপ্ত। তার দুটি মেয়ে – সোনা এবং রুপা। মাত্র ২৩ বছর বয়স দিব্যজ্যোতির। আর এই বয়সেই বাবার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তরুণ অভিনেতাকে। অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ভবিষ্যতে ভাল বাবা, বর্তমানে ভাল ছেলে কিনা আমি জানি না। তবে আমি চাই ভাল মানুষ হতে।” বাবা-মেয়ের এই অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি যে ভাল লেগেছে দর্শকদের, সে প্রমাণ মিলেছে টিআরপির খাতায়। টিআরপির এই ওঠাপড়া কি আদপে তাঁকে ভাবায়? তাঁর কথায়, “সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। সবাই নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে। আর সেই কারণেই টিআরপি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শেষে দর্শক হল টপ বস। তাঁদের সিদ্ধান্তই সবার আগে। যদি কোনওদিন দশে চলে যাই, চেষ্টা থাকবে কী করে একে আসব তার, আর একে যখন এসেছি তখন চেষ্টা করে যাব কী করে আরও ভাল পারফর্ম করা যায়।”
প্রথম থেকেই যে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ একে ছিল তা কিন্তু নয়। কখনও প্রথম পাঁচ আবার কখনও বা প্রথম দশে জায়গা করে নিচ্ছিল ওই ধারাবাহিক। তবে বেশ কিছু মাস ধরে তারাই বাংলার সেরা। আর তা বজায় রাখতেই হিরোর কাজ চালিয়ে যাওয়া। ধর্মগ্রন্থেই যে লেখা আছে, “বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী”।