Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ক্যানসার আক্রান্ত ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে একের পর এক কদর্য পোস্ট, প্রতিবাদ প্রেমিকের

এরই মধ্যে ইউটিউব জুড়ে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে একের পর এক ভুয়ো পোস্ট। সব্যসাচী লিখছেন, "আমি জানি যে ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা প্রচুর ইউটিউব চ্যানেল আজকাল নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়।

ক্যানসার আক্রান্ত ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে একের পর এক কদর্য পোস্ট, প্রতিবাদ প্রেমিকের
ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 2:22 PM

ঐন্দ্রিলা শর্মা– বিগত কয়েক মাস ধরেই যিনি এক অদম্য সাহসের উদাহরণ। ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে, কখনও কেমো, কখনও রেডিয়েশন আবার কখনও সার্জারির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে… তবু পণ হার না মানার। এ হেন ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কদর্য পোস্ট। কখনও সাজিয়ে গুছিয়ে তাঁর ‘মৃত্যুসংবাদ’-এর মতো কদর্য মিথ্যে খবর আবার কখনও বা তাঁর চিকিৎসার টাকা মিঠুন চক্রবর্তীর দান– এই হেডলাইনে ‘ভুয়ো’ খবর…চলছেই। এ বার তা নিয়েই প্রতিবাদ জানালেন অভিনেত্রীর প্রেমিক সব্যসাচী। যদিও সে প্রতিবাদের ভাষায় বিরক্তি নেই, আছে কষ্ট, প্রিয় মানুষকে ঘিরে মিথ্যে রটনার হতাশা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন সব্যসাচী। তাতে বিষদে লিখেছেন ঐন্দ্রিলার বর্তমান শারীরিক অবস্থা। লিখেছেন, জুলাই মাসটা বেশ সঙ্কটপূর্ণ ছিল ঐন্দ্রিলার কাছে। ২৫ টা রেডিয়েশন এই মাসেই দেওয়া হয়েছে, একই সঙ্গে চলেছে কেমোথেরাপি। ঘটেছে ওষুধপত্রেরও অদলবদল। এত কিছু ধকলের মাঝে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। কমেছিল দেহের শ্বেতকণিকার পরিমাণও। শরীর এতটা অসাড় হয়ে গিয়েছিল যে বাথরুমে যাওয়ার ক্ষমতাও হারিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।

এরই মধ্যে ইউটিউব জুড়ে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে একের পর এক ভুয়ো পোস্ট। সব্যসাচী লিখছেন, “আমি জানি যে ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা প্রচুর ইউটিউব চ্যানেল আজকাল নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। তাদের অধিকাংশেরই কাজ বিভিন্ন অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ঘেঁটে মুখরোচক ছবি এবং তথ্য জোগাড় করে তা উপস্থাপনা করা। আমি এও জানি যে আমার লেখা তারা নিয়মিত পড়ে এবং সেটাকেই গড়গড় করে পড়ে শুনিয়ে, কটা ছবি লাগিয়ে ভিডিও বানায়। তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই, আমি দেখিও না। তবে ঐন্দ্রিলা সব দেখে, সব কটা। শুয়ে শুয়ে ফোন ঘাঁটা ছাড়া কোনো উপায়ও নেই তো। মাঝেমধ্যেই আমায় বিভিন্ন ভুলভাল জিনিস দেখায়, “এই দেখো মিঠুন চক্রবর্তী নাকি আমার ট্রিটমেন্ট করাচ্ছে”। পরের দিনই বললো, “ যাহ, আজকে মিঠুনদা নয়, মমতা ব্যানার্জী আমার ট্রিটমেন্টের পয়সা দিচ্ছে”। আরেকদিন বললো, “যাক আর কোনো চিন্তা নেই, আমি নাকি সিনেমার শুটিং শুরু করে দিয়েছি”। এত অবধি ‘ইগনোর’ করেছেন সব্যসাচী। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে কিছু দিন আগে। সেই দিন যেদিন দুর্বল শরীর নিয়ে জানালার ধারে শুয়ে ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীকে এ হেন এক ইউটিউব চ্যানেলের ‘নিউজ’ দেখিয়ে বলেন, “এই দেখো, তিন মাস আগে, আমি সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছি”। হ্যাঁ, তাঁকে মৃত ঘোষণা করেও এ রকম ভুয়ো খবর ইউটিউবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন- ছিল না বিয়ের প্ল্যান, বাধ্য হয়েই তড়িঘড়ি বিয়ে করতে হয় ইয়ামি গৌতমকে

সব্যসাচী যোগ করেন, “বুকটা কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো আমার। মানুষ এত নিচ, এত বর্বর।” যদিও ঐন্দ্রিলা ভেঙে পড়েননি। সব্যসাচীকে বলেছেন, “আহা, রাগ করছো কেন ? এসব ভিডিও না বানালে লোকে দেখবে না তো। ওদেরও তো খেতে পড়তে হবে”। ঐন্দ্রিলা না ভেঙে পড়লেও সব্যসাচীর ওই পোস্টে চরম নিন্দা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। লাইকের মোহে এত নিচে! কীকরে? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা…।