Pallavi Dey Death: এই কঠিন সময়ে সাপোর্ট সিস্টেম থাকা দরকার: অনুশা বিশ্বনাথন
Anusha Viswanathan: অভিনেত্রী পল্লবী দে'র মৃ্ত্যু নিয়ে অভিভাবকদের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন। এবার এ ব্যাপারে TV9 বাংলার জন্য কলম ধরলেন তাঁর কন্যা অনুশা বিশ্বনাথন। সম্প্রতি তাঁকে উমার চরিত্রে দেখা গিয়েছে 'অপরাজিত' ছবিতে।
অনুশা বিশ্বনাথন
আমি নিজে একজন ইয়ং অভিনেত্রী। নিঃসন্দেহে আমাদের অনেক উপর অনেক প্রেশার থাকে। হার্ড ওয়ার্ক ছাড়াও অনেক সমস্যা তৈরি হয়। অনেকক্ষেত্রেই আমাদের কাজের সুযোগ আসে না। আমাদের যাঁরা দেখেন, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য রাখতেই পারেন। কেন না, আমরা নিজেদের পাবলিক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসি। কিন্তু এটাও ঠিক, সকলে যা বলছেন, তা যদি আমরা আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে নিই, সেটা কিন্তু করা উচিত না। আমার মনে হয়, সেটা খুবই ডেঞ্জারাস ব্যাপার। সমাজের অনেক আশা তৈরি হয় আমাদের ঘিরে। মনের মধ্যে প্রচুর কুপ্রভাবও তৈরি হয়। এই দিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের প্রত্যেকেরই একটা সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি হওয়া দরকার। এর ফলে যতই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হোক না কেন, আমরা সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। ব্যস্ততার মধ্যে আমরা অনেক কিছু বলতে পারি না বা বলতে যাই না। কিন্তু একটু হলেও মনের কষ্টগুলো আমাদের কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত।
অনেককিছুই আমরা বাবা-মায়ের সঙ্গেও শেয়ার করতে পারি না। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতেই পারি, যাতে হাল্কা হতে পারি। আমার মনে হয় সেটাই একমাত্র উপায়।
এখানে আমার আর একটা জিনিস বলার আছে। কে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবে কিংবা সেটা কীভাবে সে ব্যয় করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজের ব্যাপার। আমরা সেখানে মন্তব্য করার কেউ নই। পল্লবী দে’র ব্যাপারে আমি সেরকম কিছু জানি না। আমি একটা কথাই বলব, মানসিক অবসাদ এমনই একটা জিনিস যেটা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা দরকার। লকডাউনে আমাদের কাজটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রুটিনে ব্রেক এসেছিল। কাজে বাধা বড় ব্যাপার। সে জিনিসগুলো হ্যান্ডেল করার জন্য সাপোর্টি সিস্টেম দরকার।
আমার বাবার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ‘অপরাজিত’র রিলিজ়, এগজিবিশন… এ সব নিয়ে আমিও খুব ব্যস্ত ছিলাম। ফলত বাবার সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার আলোচনা হয়নি। খুবই হতাশাজনক একটা খবর। আমিও যে খুব আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, তাও কিন্তু নয়।
তবে একটা কথা বলব, আমার মন খারাপ হলে আমি ফ্যান্টাসি বই পড়ি। আমার বন্ধুদের বা প্রিয়জনদের কারও সেরকম কিছু হলে তাঁকে আমি সময় দিই। তাঁর পাশে থাকি। তাঁর কষ্টটা শুনি। বাইরে খাওয়াতেও নিয়ে যাই।