The Kerala Story Controversy: ‘বাড়ি থেকে একা বের হবেন না…’, এবার হুমকি-বার্তার অভিযোগ নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র এক সদস্যকে
The Kerala Story: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরদিনই সামনে এল পরিচালকের অভিযোগ: হুমকি মেসেজ পাঠানো হয়েছে ফিল্মের সঙ্গে যুক্ত তাঁর সহকর্মীকে। পুলিশের কাছে গেলেও FIR করলেন না কেন বাঙালি পরিচালক?

বিগত কিছুদিন ধরে শিরোনাম দখল করেছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। রাজ্য থেকে দেশের রাজনৈতিক জগৎ এবং সিনেমামহল—তোলপাড় গোটা দেশ। ইতিমধ্য়েই পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে নিষিদ্ধ হয়েছে এই সিনেমা। এবার ছবির সঙ্গে যুক্ত এক সদস্যকে ফোন করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ এনেছেন খোদ ছবির পরিচালক। সংবাদ সংস্থা ANI-এর তরফে মঙ্গলবার, ৯ মে টুইট করে এই খবর জানানো হয়।
সিনেমা সময়ের কথা বলে। বলে ইতিহাস ও বাস্তবের কথাও। কিন্তু যুগে-যুগে সিনেমা, নাটক, তথ্যচিত্রে কণ্ঠরোধ করার ঘটনা দেখতে অভ্য়স্ত বিশ্ববাসী। অতীত ঘাঁটলে এমন অনেক সিনেমার নাম উঠে আসবে, যা শাসকের রোষানলে পড়ে হল থেকে উঠে গিয়েছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনার মধ্যে রয়েছে বিবিসি-র তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে বিতর্ক। এবার নিশানা ‘দ্য কেরালা স্টোরি।’ মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে এই ছবিকে ঘিরে। যদিও প্রথম তিন দিনের ব্যবসায় এই ছবি টেক্কা দিয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-কেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন অভিযোগ করেছেন, তাঁর টিমের এক সদস্যকে হুমকি-মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তিনি ওই ব্যক্তি যেন বাড়ি থেকে একা না-বের হন। একই সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, এই ছবি দেখিয়ে মোটেই ঠিক কাজ করা হচ্ছে না। এই ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিচালক। পুলিশের তরফে সেই ফিল্মকর্মীকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্য়বস্থা করা হয়েছে। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ বা FIR দায়ের করেননি সুদীপ্ত সেন। শীঘ্রই তা করা হবে বলে আপাতত জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার, ৮ মে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ এই ছবি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত। শুধু এ রাজ্যে নয়, তামিলনাড়ুর সিনেমাহল থেকেও তুলে নেওয়া হয়েছে এই ছবি। জোর করে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের মতো কিছু বিষয় রয়েছে এই ছবিতে। কেরালা থেকে ৩২ হাজার মহিলার ধর্মান্তকরণ করিয়ে নিয়ে সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে ISIS-এর প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এটাই সিনেমার মূল কাহিনি। আর তাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে সব বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বক্সঅফিসে সোনা হাঁকাচ্ছে ‘দ্য় কেরালা স্টোরি।’ প্রথম তিনদিনেই ৩৫ কোটির ব্য়বসা দিয়েছে এই বিতর্কিত ছবি।





