পর্দার ‘জামাই’কে নিয়ে আবেগাপ্লুত টোটা, বলেই বসলেন, ‘ওর জন্য সকলে ২০০ শতাংশ দেয়…’

Tota Roy Choudhury: সহ-অভিনেতাকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন টোটা রায়চৌধুরী। পর্দায় তাঁরা শ্বশুর-জামাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এবার তাঁকে নিয়েই লম্বা পোস্ট করলেন টোটা। টোটার এই পোস্ট কার জন্য, জানেন?

পর্দার 'জামাই'কে নিয়ে আবেগাপ্লুত টোটা, বলেই বসলেন, 'ওর জন্য সকলে ২০০ শতাংশ দেয়...'
টোটা রায়চৌধুরী।
Follow Us:
| Updated on: Jul 08, 2024 | 3:40 PM

পর্দায় শ্বশুর-জামাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁরা। অভিনেতাদ্বয়ের নাম টোটা রায়চৌধুরী এবং রণবীর সিং। করণ জোহর পরিচালিত ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি’ ছবিতে শ্বশুর-জামাইয়ের চরিত্রে কেবল অভিনয় করেননি, ‘ডোলা রে ডোলা’ নাচের তালে ঝড়ও তুলেছিলেন। দিন দুই আগে তাঁর মুম্বইয়ের সহ-অভিনেতাকে নিয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট শেয়ার করেছিলেন টোটা। হৃদয় নিংড়ে রণবীরকে আশীর্বাদ করেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “এই নির্দয় সময়ের প্রেক্ষিতে অপ্রয়োজনীয় রূপে ভাল। সর্বদা একটি স্মিত হাসি মুখে লেগেই আছে। আর সেই হাসিটা শুধু মুখ থেকে নিঃসৃত নয়, হৃদয় থেকে।” রণবীরকে নিয়ে কেন এমন মন-ছোঁয়া কথা লিখছেন টোটা?

টোটা লিখেছেন:

“ছেলেটা বড্ড ভাল। এই নির্দয় সময়ের প্রেক্ষিতে অপ্রয়োজনীয় রূপে ভাল। সর্বদা একটি স্মিত হাসি মুখে লেগেই আছে। আর সেই হাসিটা শুধু মুখ থেকে নিঃসৃত নয়, হৃদয় থেকেও। দেখা হলেই কষে জড়িয়ে ধরে প্রশ্ন, ‘Sir, how are you?’ তাঁকে পাল্টা একই প্রশ্ন করলেই উত্তর দেবে, ‘I am always happy!’ বলেই হাহা করে তাঁর signature হাসিটা হাসবে। সেটে ওর প্রবেশ মাত্রই পরিবেশ বদলে যায়। পোড় খাওয়া গম্ভীর টেকনিশিয়ানদের মুখেও দেখি একটা হালকা হাসি। যেন আপন কেউ এসেছে। ড্যান্সাররা থাকলে তো কথাই নেই। হইহই করে ওকে ছেঁকে ধরবে আর ও মুম্বইয়া ভাষায় বলবে, ‘কেয়া রে পান্টার লোগ। কেয়া চল রহা হ্যায়? আজ ফোড় দেতে হ্যায়, চল।’ ওর জন্য টেকনিশিয়ান থেকে ড্যান্সার থেকে অ্যাক্টর–সকলে ২০০ শতাংশ দেয়।

তবে ভোজবাজির মতো তার পরিবর্তন হয় পরিচালকের ‘action’ ঘোষণা শুনেই। মুহূর্তের মধ্যে চরিত্রে রূপান্তরিত হয়। সেটা এতটাই আকস্মিক, অস্বাভাবিক ও নিখুঁত যে, বহুবার প্রত্যক্ষ করার পরও চমকে যাই, মুগ্ধ হই।

শটের বিরতিতে একবার একা পেয়ে আচমকা প্রশ্ন করেছিলাম, ‘তুমি দুঃখ পাও না?’ মুহূর্তের বিহ্বলতা কাটিয়ে চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছিল, ‘কাউকে দেখতে দিই না, জানতে দিই না।’ বলেই একটি চওড়া হাসি।

‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবির প্রিমিয়ারে শো শেষের পর এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছি। চারদিকে এত তারকা যেন নক্ষত্রমণ্ডল নেমে এসেছে। চোখ ধাঁধানো এই গ্ল্যামারে অনভ্যস্ত, তাই নীরবে পলায়ন-পথ অনুসন্ধান করছি। হঠাৎ সুনামির মতো এসে, ভীম-শক্তিতে আলিঙ্গন করে, গালে একটা চুম্বন এঁকে দিয়ে, হাত ধরে হিড়-হিড় করে টানতে-টানতে ওঁর মা-বাবার সঙ্গে আলাপ করাতে নিয়ে গেল। আজীবন ওর এই আন্তরিকতা মনে রাখব।

আজ ছেলেটির জন্মদিন। ওকে দেওয়ার মতো সত্যিই আমার কিছু নেই। শুধু দু’হাতে আশীর্বাদ করতে পারি আর সেই দু’ হাত জোড় করে ঈশ্বরের কাছে ওর মঙ্গলকামনা করতে পারি। আজীবন ঠিক এমনটাই থেকো, রণবীর।”

টোটা এবং রণবীর।