বিদেশের মাটিতে ১৫দিন ফাঁকা সময়, তখনই দোলনের কাছে আসেন দীপঙ্কর?
Dolon-Dipankar Romance: প্রায় আড়াই দশক ধরে সম্প্রর্কে রয়েছেন অভিনেত্রী দোলন রায় এবং অভিনেতা দীপঙ্কর দে। প্রেম করেছেন তাঁরা। তারপর বিয়ে করেছেন। নিজের থেকে প্রায় ২৬ বছরের বেশি বয়সি এক অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার ফলে প্রথম বিষয়টা মানতেই চাইছিল না দোলনের বাবা-মা এবং পরিবার। তারপর সব ঠিক হয়ে যায়।
দীপঙ্করের চেয়ে ২৬ বছরের ছো,ট দোলন রায়। দীপঙ্করের বয়স এখন ৭৮। দোলন তাঁকে আগলে রাখেন। এই সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল বিদেশের মাটিতে। প্রায় ২৫ বছর আগের ঘটনা। সে সময় দোলনের বয়স খুবই কম। বিদেশে নাটক করতে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর-দোলন। সে সময় তাঁরা একে-অপরকে চিনতেন না ভাল করে। প্রত্যেক শনিবার-রবিবার নাটকের শো থাকত। কোনও এক কারণে একবার এক সপ্তাহের শো বাতিল হয়ে যায়। ১৫ দিনের বিরতি মেলে। সে সময় দোলন কাউকে চিনতেন না। তখনই কি দীপঙ্কর কাছাকাছি আসে দোলনের?
প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় থেকেই মহিলামহলে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন দীপঙ্কর রায়। মহিলাদের ইমপ্রেস করার ব্যাপারে তাঁর জুড়ি ছিল না। সুন্দরীদের নিয়ে কফি হাউজ়ে আড্ডা জমাতেন দীপঙ্কর। যে কারণে তাঁর প্রথম বর্ষের রেজ়াল্ট খুবই খারাপ হয়েছিল। অঙ্কে ফেল করেছিলেন বলে কলেজ ছাড়তে হয়েছিল। পরবর্তীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেছিলেন টিসি নিয়ে।
মহিলা মহলে সেই থেকে অন্যতম হিরো ছিলেন দীপঙ্কর। বিদেশে গিয়েও মহিলাদের ইমপ্রেস করেছিলেন তিনি। দূর থেকে দাঁড়িয়ে দোলন দেখতেন দীপঙ্কর বসে আছেন এবং তাঁকে ঘিরে রমণীদের দল। দীপঙ্করের কণ্ঠে তখন এই ‘পথ যদি না শেষ হয়’ গানটি। দীপঙ্কর মজার ছেলে বলেছিলেন, “জানেনই তো ব্যাপারটা আমার”।
সব বাজে কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন দোলন। এবং বলেছিলেন, “ওখানে তো কাউকে চিনতাম না। নিজের বলতে কেউ ছিল না। একা-একা ঘুরতাম। তখনই দীপঙ্করের সঙ্গে আমার আলাপ এবং বন্ধুত্ব। কাছাকাছি এসেছিলাম আমরা।”