Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sreelekha Mitra: ফের মা হলেন শ্রীলেখা মিত্র; পুত্র সন্তানের জননী হয়েছেন তিনি

Sreelekha Mitra Becomes Mother: শ্রীলেখার এক কন্যা সন্তান রয়েছেন। ঐশী এখন অনেকটাই বড়। তাঁকে আদর করে ‘মাইয়া’ বলে ডাকেন শ্রীলেখা। ১৮ বছর বয়সে পা দেবেন তিনি। লেখাপড়ায় খুবই ভাল ঐশী (দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী)। অভিনেত্রীর ‘পুত্রসন্তান’ হওয়ায় তিনিও দারুণ খুশি। কিন্তু এতদিন এই খুশির খবর কেন লুকিয়ে রেখেছিলেন শ্রীলেখা? সেটাই হল আসল কথা। এর মধ্যে হয়তো অনেকেই রসালো প্রেমের গন্ধ খুঁজছেন। মনে-মনে ভাবছেন কে এই সন্তানের বাবা?

Sreelekha Mitra: ফের মা হলেন শ্রীলেখা মিত্র; পুত্র সন্তানের জননী হয়েছেন তিনি
শ্রীলেখা মিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 06, 2023 | 3:46 PM

‘মা’ হলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। জন্ম হল ফুটফুটে পুত্র সন্তানের। মা এবং সন্তান—দারুণ সময় কাটছে দু’জনেরই। শহরের আবহাওয়া ঘোলাটে হলেও টলিউডের ‘ঠোঁটকাটা’ এই নায়িকার বাড়িতে এখন খুশির হাওয়া। সকলেই ছোট্ট ছেলেটাকে দেখতে আসছেন। তার আগমনে আলো জ্বলে উঠেছে বাড়ির অন্দরে। ছেলেকে পেয়ে শ্রীলেখাও বেজায় খুশি। একমাত্র TV9 বাংলাকেই শ্রীলেখা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বললেন, “আমি আবারও মা হয়েছি। ছেলেটা আমার খুব মিষ্টি হয়েছে।” ফোনের ওপার থেকে ভেসে আসে ‘নতুন’ মায়ের মৃদু হাসি; সঙ্গে সংযোজন, “খানিক দুষ্টুও।”

শ্রীলেখার এক কন্যা সন্তান রয়েছেন। ঐশী এখন অনেকটাই বড়। তাঁকে আদর করে ‘মাইয়া’ বলে ডাকেন শ্রীলেখা। ১৮ বছর বয়সে পা দেবেন তিনি। লেখাপড়ায় খুবই ভাল ঐশী (দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী)। অভিনেত্রীর ‘পুত্রসন্তান’ হওয়ায় তিনিও দারুণ খুশি। কিন্তু এতদিন এই খুশির খবর কেন লুকিয়ে রেখেছিলেন শ্রীলেখা? সেটাই হল আসল কথা। এর মধ্যে হয়তো অনেকেই রসালো প্রেমের গন্ধ খুঁজছেন। মনে-মনে ভাবছেন কে এই সন্তানের বাবা?

আসলে শ্রীলেখার এই পুত্র কোনও মানুষ নয়। চার পেয়ে এক জীব। যে চারপেয়ে সন্তানদের নিয়ে নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন অভিনেত্রী। কিন্তু এই জীব এক বিড়াল ছানা। শ্রীলেখার সারমেয় পরিবারে এক হুলোর আগমন ঘটেছে। তাঁর আদরের নাম হয়েছে ‘মিঁয়া সাহেব’। নিত্যদিন তাকে খাওয়াতেন শ্রীলেখা। একদিন অ্যাপার্টমেন্টের নীচে সারা সন্ধ্যা, সারা রাত আটকেছিল ‘মিঁয়া’। কেউ উদ্ধার করেনি তাকে। অনাদরে পড়ে থাকা প্রাণীটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন ‘কেয়ার গিভার’ শ্রীলেখা। এবং তাঁর চার কুকুর-সন্তানের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছে এই হুলো। আগে থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে থাকা সারমেয়রা কি মেনে নিল শ্রীলেখার এই বিড়াল সন্তানকে? কথিত আছে, কুকুর-বিড়াল এক জায়গায় বাস করতে পারে না। ‘টম অ্যান্ড জেরি’-র কার্টুনে সেই ছবি পাওয়া যায়। আবার বাঙালি শিশু সাহিত্যিক ধীরেন বল তাঁর ‘তুতু ভুতু’র গল্পে দেখিয়েছেন, হাত ধরাধরি করে কীভাবে বিড়াল-ছানা ভুতুর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় কুকুর-ছানা তুতুর।

এই ব্যক্তি মিয়া সাহেব। একেই অনাদরে ফেলে রাখা হয়েছিল। নিজের সন্তানের পরিচয় দিয়ে আপন করেছেন শ্রীলেখা… (পুত্রের ছবি প্রথম TV9 বাংলার সঙ্গেই শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা)

শ্রীলেখা বলেছেন, “আমার দু’জন কুকুর-ছানা মেনে নিয়েছে ওকে। কিন্তু দু’জন মেনে নেয়নি। যে আমার সবচেয়ে প্রিয়, করণ (কর্ণ), সে ওকে মানছে না। ঝামেলা করছে। ওরা আসলে জেলাস ফিল করছে (হিংসা করছে)।” তবে কুকুরকে বাগে আনা গেলেও বিড়ালকে বাগে আনা কঠিন। ফাঁকফোকর দিয়ে গলে বাইরে বেরিয়ে যায়। শ্রীলেখা বললেন, “ও তো হুলো। মেয়ে হলে বারবার সন্তান ধারণ করার সমস্যা তৈরি হত। একজন থেকে অনেকগুলো বিড়াল হয়ে যেত। আমি ওকে বাইরে বের হওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছি। যদিও আমার মিঁয়া খুবই ভয় পেয়ে থাকে। নিজেও বের হতে চায় না। ওকে নীচে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কোল থেকেই নামেনি। এই দুনিয়া ওকে এই ভয়টা ‘উপহার’ দিয়েছে…”

ঐশীর মা তথা ‘কেয়ার গিভার’ শ্রীলেখার মাতৃসত্ত্বাকে আবারও আর্দ্র করে চুলেছে এই ‘মিঁয়াও’ বলে ডেকে-ওঠা ‘মিঁয়া সাহেব’। কেদাদুরস্ত কুকুর-বেড়াল নয়, পথচলতি এই জীবদের সেবা ও আদর করার অভ্যেস শ্রীলেখার আজকের নয়। তাই-ই তো TV9 বাংলাকে ‘পুত্র’-এর কথা বলতে গিয়ে যেন গলা ধরে আসে শ্রীলেখার, “সন্তানকে তো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা একটা নোংরা পৃথিবীতে বাস করি। খুব নোংরা। এই পৃথিবী মানুষকে সহ্য করতে পারে না। রাস্তার কুকুর-বিড়াল এবং অন্যান্য প্রাণী অনাদরে পড়ে থাকে।” ফোনের ওপারে থামে না কথা, শুনতে থাকে TV9 বাংলা, “তার উপর কুকুর-বিড়ালরা কথা বলতে পারে না। ওদের উপর অন্যায় হলে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ জানাতে পারে না কিংবা থানায় যেতে পারে না। ওদের আপন করে নিয়েছি বলে আমাকেও তো কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয় না। কিন্তু তাতে আমার বয়েই যায়…।” ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’র সংস্কৃতিকে বড় হয়ে-ওঠা বাঙালি শ্রীলেখার কণ্ঠ দৃপ্ত শোনায়, “ওদের পাশে ছিলাম এবং থাকব। এভাবেই আমার সন্তান-সংখ্যা বাড়ুক, এই প্রার্থনাই করি ঈশ্বরের কাছে।”