Sreelekha Mitra: এই স্বাদের ভাগ হয় না, ভাত-ডাল-আলু সিদ্ধ খেতে খেতে বললেন ‘বিলেত ফেরত’ শ্রীলেখা
যদিও এই স্বাদ তিনি তাঁর প্রিয় পোষ্যর সঙ্গেই ভাগ করে নিয়েছেন। মায়ের মন তো!
বেশ কয়েকদিন ইউরোপে কাটিয়ে এ দেশের মাটিতে পা রাখলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বেড়াতে গিয়েছিলেন অনেক দিন পর। আর গিয়েছিলেন সোজা ইউরোপে। সদ্য কলকাতায় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন অভিনেত্রী। আর ফিরেই তাঁর প্রথম পোস্ট শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই পোস্ট আর কীসেরই বা হতে পারে। অভিনেত্রী উপভোগ করলেন বাঙালি খাবার। যে খাবার ওদেশে পাওয়া যায় না বললেই চলে। যদিও নিজের জন্মদিনে এক বাঙালি পরিবারের আমন্ত্রণে ইলিশ মাছের স্বাদ নিয়েছিলেন জুরিখে থাকার সময়। কিন্তু জুরিখে বাঙালি রান্না চেখে দেখা আর কলকাতায় নিজের ঘরে বসে আয়েশ করে ভাত মেখে খাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তাই কলকাতায় ফিরেই না পাওয়া আহারের স্বাদ নিলেন শ্রীলেখা।
এই কাজ যে তিনি করবেনই তা দুবাই থেকে বিমান ধরার সময়ই আভাস দিয়েছিলেন। সেটি হল ঘরোয়া বাঙালি রান্নার স্বাদ নেওয়া। আসলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাঙালি যান না কেন, বাড়ির রান্নাই মিস করেন। এটাই চিরকাল হয়ে এসেছে, আগামীতেও তাই হবে। আর বিদেশ হলে তো কথাই নেই। বাঙালি রান্না চাই চাই।
তাই কলকাতায় ফিরেই একটি ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নিজের প্রাণের চেয়েও প্রিয় পোষ্যকে পাশে নিয়ে বাঙালি খাবার প্রাণভরে খাচ্ছেন তিনি। সে খাবারের এতই স্বাদ, যে আয়েশে তাঁর দু’চোখ বুঝে আসছে। তবে তিনি নিজে রান্না করেননি। খাবার পাঠিয়েছেন তাঁর কাছের মানুষ শুক্লা বি হাজরা। তিনি শ্রীলেখার বোনের মতো। তিনিই কিছুদিন আগে শ্রীলেখার জন্মদিনে তাঁর জন্য কিউই ফলের কেক তৈরি করেছিলেন। একজন আদর্শ বোনের মতো তিনিই শ্রীলেখার বাঙালি ঘরোয়া রান্নার ক্রেভিং মেটালেন।
কমেন্টে শ্রীলেখা লিখেছেন, “সেরা আরামদায়ক খাবার। এতদিন ক্রেপেস, পিৎজ়া, রিসোটো খাওয়ার পর ভাত-ডাল-আলু সিদ্ধ পাচ্ছি। ভালবেসে রেঁধেছে আমার বান্ধবী শুক্লা বি হাজরা। এই স্বাদের ভাগ হয় না”। যদিও এই স্বাদ তিনি তাঁর প্রিয় পোষ্যর সঙ্গেই ভাগ করে খাচ্ছেন। মায়ের মন তো!
আরও পড়ুন: Salman Khan: “আরে ওয়াও, কী সুন্দর দেখতে লাগছে তোমায় বেটা”, কাকে বললেন সলমন?
আরও পড়ুন: ঘুড়ির মতো স্বাধীনচেতা হতে পারলাম কই! খানিক ভেতো, একটু অলস: রূপঙ্কর বাগচী