দ্বিতীয় ছবির কাজ শুরু করছেন পরিচালক শ্রীলেখা, কাস্টে চমক
যে গল্পে একজন অভিনেত্রী রয়েছেন, সেখানে কাকে কাস্ট করতে চান? শ্রীলেখার উত্তর, “অ্যাকট্রেসের গল্পে ঋতু (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) হলেই ভাল হত। ওকেই সবচেয়ে ভাল মানাবে। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। দেখা যাক, ভাবতে হবে।”
টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রী (Actress) হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পর ক্যামেরার পিছনে কাজ করতে চেয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। সেই ইচ্ছেতেই পরিচালক হিসেবে তাঁর ডেবিউ ছবি ‘বিটার হাফ’ তৈরি করেছেন। শ্রীলেখা জানালেন, ‘বিটার হাফ’-এর কাজ প্রায় শেষ। এ বার নতুন চিত্রনাট্যে মন দিয়েছেন।
শ্রীলেখার কথায়, “তিনটে আলাদা আলাদা ভাবনা রয়েছে। লিখছি। তিনটে গল্পেই মহিলা প্রোটাগনিস্ট। একজন বয়স্ক মহিলার গল্প। ৬০ বা ৭০-এর কাছে বয়স। একা থাকেন, মেয়ে বিদেশে থাকে। আর একটা গল্প একজন অ্যাকট্রেসকে নিয়ে। সেটা সাইকোলজিক্যাল, ম্যাজিক রিয়ালিটি। আর তৃতীয় গল্প ৪০ বছর বয়সী এক মহিলার গল্প।”
৪০- বছরের মহিলার গল্প এখনই খুব একটা ভাঙতে চাইলেন না শ্রীলেখা। তবে সেই ছবিতে মূল চরিত্রে নিজে অভিনয় করতে পারেন বলে জানালেন। যে গল্পে একজন অভিনেত্রী রয়েছেন, সেখানে কাকে কাস্ট করতে চান? শ্রীলেখার উত্তর, “অ্যাকট্রেসের গল্পে ঋতু (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) হলেই ভাল হত। ওকেই সবচেয়ে ভাল মানাবে। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। দেখা যাক, ভাবতে হবে।”
View this post on Instagram
‘বিটার হাফ’-এর পর বয়স্ক মহিলার গল্প নিয়েই পরিচালনার কাজ শুরু করে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানালেন তিনি। এই গল্পের অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা। আর নিজেরই এক আত্মীয়াকে কাস্ট করার কথা নাকি ভেবেছেন।
শ্রীলেখা শেয়ার করলেন, “এই গল্পে একদন নতুন একজনকে ভেবেছি। আমার এক পিসি। অসম্ভব সুন্দরী ছিলেন। এখনও সুন্দরী। যুবতী যখন ছিলেন, তখন ফিল্মের অফার আসে। ওঁর ডাকনাম তপন, ভাল নাম তপতী। বাবা যখন জানতে চেয়েছিলেন, ‘অভিনয় করবি’? তিনি কেঁদে বলেছিলেন, ‘দাদা তুই আমাকে সিনেমায় নামতে বলছিস’? নামকরা অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজ করতে চাই না। কারণ ওদের মধ্যে ডিগনিটি থাকে না। আমার পিসির মধ্যে একটা সফটনেস আর একটা ডিগনিটি আছে। ওই অভিনেত্রীদের মধ্যে একটা সেট ম্যানারিজম থাকে। সেটা চাইনি। খুব বেশি বাজেটের ছবি নয়। আর একেবারেই টিপিক্যাল গল্প নয়।”
আরও পড়ুন, সন্তান হোক সুস্মিতার মতো, এমন ইচ্ছে প্রকাশ করলেন চারু
শ্রীলেখা জানালেন, তাঁর মা মারা যাওয়ার পর বাবা খুব একা হয়ে গিয়েছিলেন। বাবার সেই একাকীত্ব খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মা মারা গেলে বাবা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। হ্যালুসিনেশন শুরু হয়েছিল। ভাইয়ের কাজের প্রেশার। আমি দূরে থাকি। তখন মনে হয়েছিল, বাবার একটা বিয়ে দেওয়া যায় না? আমাদের বাবা মায়েদের সময় বিয়েটা আলাদা ছিল। জড়িয়ে জাপ্টে ঝগড়া করে হলেও একসঙ্গে থাকত। আমরা থাকতে পারি না। এই গল্পের ইন্সপিরেশন বাবা। মনে হয়েছিল, ওই বয়সে কি প্রেম হতে পারে না? তবে শুধু প্রেম নিয়ে ছবিটা নয়। ছেলে মেয়েরা বিদেশে থাকে। বাবা-মাকে দেখার কেউ নেই। তাদের অন্য কারও উপর নির্ভর করতে হয়। এরা কতটা অসহায়, সেটা নিয়েই গল্পটা।”