Aindrila Sharma Death: সব্যসাচীকে নিয়ে রটছে একের পর এক মিথ্যে খবর, আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সৌরভের
Aindrila Sharma: গত ২০ নভেম্বর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দুবার ক্যানসার জয় করলেও তৃতীয় বার আর পারেননি তিনি।
ঐন্দ্রিলা শর্মা প্রয়াত হওয়ার পাঁচ দিন পার হয়েছে। কিন্তু শোক ফিকে হয়নি। পরিবারের কাছে এ কঠিন সময়। এরই মধ্যে সব্যসাচী চৌধুরীকে নিয়ে রটছে একের পর এক মিথ্যে। ফটোশোপ ভিডিয়োতে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাইকস, ভিউজের নেশায় কখনও রটান হচ্ছে অভিনেতা অসুস্থ আবার কখনও বা রটছে সব্যসাচীও নাকি হাসপাতালে ভর্তি। যে বা যারা এই কাজ করছে– এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর বন্ধু সৌরভ দাস। সব্যসাচীর শারীরিক অসুস্থতার খবরকে নস্যাৎ করে সৌরভ লেখেন, “সব্যসাচী সুস্থ আছে। সঙ্গে আছি আমি এবং থাকব। যারা ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে তারা অসুস্থ। বিব্রত হবেন না।” এখানেই শেষ করেননি সৌরভ। যোগ করেছেন, “যদি কোথাও থেকে কোনও মিথ্যে খবর রটানো হয় তবে সেই ব্যক্তি বা পোর্টালের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। পরিবারটিকে শান্তি দিন”।
সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার পারিবারিক বন্ধু সৌরভ। হাসপাতালে ঐন্দ্রিলা ১৯ দিনের লড়াইইয়ে সব্যসাচীর সঙ্গে রাত জেগেছেন সৌরভ। প্রতি মুহূর্তে ছিলেন সব্যসাচীর পাশে। সাক্ষী থেকেছেন বিনিদ্র রাতের। সাক্ষী থেকেছেন কী ভাবে ঐন্দ্রিলার প্রতি মুহূর্তের আপডেটের জন্য মুখিয়ে থাকতেন সব্যসাচী। চিনেছেন এমন এক প্রেমিককে যা তাঁকে মুগ্ধ করেছে প্রতি মুহূর্তে। ঐন্দ্রিলাকে তিনি ডাকতেন মিষ্টি বলে, ওটিই তাঁর ডাক নাম। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন সৌরভ। যে পোস্টের প্রতিটি লাইন সিক্ত হয়েছিল ভালবাসায়, সিক্ত হয়েছিল আবেগে। সৌরভ লিখেছিলেন, “ও জিতেছে। ওর জন্য অনেক ভাল জায়গা রয়েছে। অনেক ভাল মানুষের অপেক্ষায় রয়েছে ও। আজ ও ভীষণ খুশি। অনেক শান্তির দুনিয়ায় যেতে পেরেছে যে। মিষ্টি, তোকে ভালবাসি। সব সময় ভালবেসে যাব। আর তোর সব্য, ওর আমি খেয়াল রাখব।” পাশাপাশি তিনি এও অনুরোধ করেছিলেন এই কঠিন সময়ে কেউ যেন সব্যসাচীকে ফোন অথবা মেসেজ করে বিব্রত না করেন। এবার বন্ধুর নামে মিথ্যে খবর রটার পরেও গর্জে উঠলেন সৌরভ। মিষ্টিকে কথা দিয়েছিলেন যে, কথা দিয়েছিলেন তাঁর সব্যকে আগলে রাখার।
গত ২০ নভেম্বর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দুবার ক্যানসার জয় করলেও তৃতীয় বার আর পারেননি তিনি। গত রবিবার বেলা একটা নাগাদ শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা। পরিবারের ক্ষত এখনও দগদগে।