Mamata Banerjee on Tarun Majumdar: তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে: মমতা
Mamata Banerjee on Tarun Majumdar: গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। অবস্থার অবনতি হচ্ছিল ক্রমশ। সোমবার সকালেই লড়াই শেষ।
কলকাতা : গত কয়েকদিন ধরে পরিচালকের সুস্থতা কামনা করছিলেন বাংলার শত শত সিনেমাপ্রেমী। বাণিজ্যিক ছবির এক অন্য ঘরানা তৈরি কর যিনি কয়েক দশক ধরে বাঙালিকে সিনেমাহলমুখী করেছেন, এই লড়াইতে তিনি জয়ী হবেন, এটুকুই প্রার্থনা ছিল। শুধু টলিউড বা অভিনয় জগৎ নয়, বিগত প্রায় দিন ১৫-র বেশি সময় ধরে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা ধরা দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। বর্ষীয়ান পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে নিজে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পরিচালকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন তিনি।
সোমবার সকাল ১১ টার কিছু পরই ভেন্টিলেশনে থেমে যায় পরিচালকের শেষ লড়াই। এরপরই শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন মমতা।
গভীর শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন কী ধরনের ছবি তৈরি করেছেন তরুণ মজুমদার। তিনি উল্লেখ করেছেন, ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গিয়েছেন। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগ দর্শককে কী ভাবে আবিষ্ট করে রাখে, সে কথাও স্মরণ করেছেন মমতা। উল্লেখযোগ্য ছবি হিসেবে বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, শহর থেকে দূরে, পথভোলা, চাঁদের বাড়ি, আলো-র কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিচালকের মুকুটে পদ্মশ্রী, জাতীয় পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের মত একের পর এক পালক যুক্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
মমতা বলেছেন, ‘তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। গত ২৩ জুন তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেমের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। মূলত কিডনির সমস্যা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৯১ বছরের পরিচালক। পাশাপাশি ডায়াবেটিস ছিল তাঁর। গত রবিবার থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তরুণ মজুমদার।