Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অসুস্থ মিমি চক্রবর্তী! ভোর রাত থেকে পেট ব্যথায় কাবু অভিনেত্রী-সাংসদ

ভোর চারটে নাগাদ এতটাই অসুস্থ বোধ করেন অভিনেত্রী যে তাঁর পরিচারিকা মিমির আত্মসহায়ককে ফোন করে ডাকতে বাধ্য হন। 

অসুস্থ মিমি চক্রবর্তী! ভোর রাত থেকে পেট ব্যথায় কাবু অভিনেত্রী-সাংসদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2021 | 11:01 AM

ভোর রাত থেকে অসুস্থ সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মারাত্মক ডিহাইড্রেশন, প্রেসার একেবারে কমে গিয়েছে, রয়েছে ভীষণ পেটে ব্যথা। ভোর চারটে নাগাদ এতটাই অসুস্থ বোধ করেন অভিনেত্রী যে তাঁর পরিচারিকা মিমির আপ্ত সহায়ককে ফোন করে ডাকতে বাধ্য হন।  বেশ কিছুদিন ধরে গলব্লাডার এবং লিভারজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মিমি, নিয়মিত ওষুধও নিতেন। দিন কয়েক আগে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ডোজ় নেন মিমি। তবে সেই ভ্যাকসিন ছিল পুরোপুরি ভুয়ো। ভ্যাকসিনের নামে জলে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল অ্যামিকাসিন। মিমির বাড়িতে ডাক্তার এসেছেন, পরীক্ষা নিয়েছেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন থেকেও বিষয়টি হতে পারে কিংবা এও হতে পারে প্যানিক-টেনশনের কারণে অসুস্থ বোধ করছেন মিমি। আপাতত দিনের সমস্ত কাজের শিডিউল বাতিল করেছেন মিমি। এখন তিনি বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভা, তারপর কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগ; দু’তরফেই নিশ্চিত করা হয়েছে, টিকাকরণ কেন্দ্রে করোনার আসল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। কারণ, বাজেয়াপ্ত ভ্যাকসিনের ভায়ালে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, ব্যাচ নম্বর বা ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, কোনওটাই উল্লেখ নেই। এমনকী, ভ্যাকসিন ভায়ালের ট্যাগে লেখা নেই প্রস্তুতকারী সংস্থার নামও। ভ্যাকসিনের ভায়ালের গায়ে লেখা ছিল, কোভিশিল্ড রিকম্বিনেন্ট। যার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। বৃহস্পতিবার দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে কসবার সেই অফিসে গেলে সেখানের ফ্রিজ থেকে আবার কোভিশিল্ডের ১২০ টি ভায়াল উদ্ধার হয়। এরপর কোভিশিল্ডের স্টিকার টানতেই বেরিয়ে আসে অ্যামিকাসিন ৫০০ ইঞ্জেকশন। যা মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন মিমির অভিযোগের আগেই এফআইআর! তারপরও অবাধ বিচরণ দেবাঞ্জনের, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও কসবার ওই ক্যাম্প থেকেই টিকা নিয়েছিলেন। হাড় হিম করা একের পর এক তথ্য উঠে আসার পর তিনি কী ভাবছেন? জানতে চাওয়া হলে যাদবপুরের সাংসদ বলেন, “অযথা দুশ্চিন্তা করে কোনও লাভ নেই। যেটা শরীরে প্রবেশ করার সেটা ইতিমধ্যেই করে গিয়েছে। আমি আমার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কাছে যা খবর এসেছে, অ্যামিকিসিন বলে একটা ওষুধ যা অ্যান্টিবায়োটিক, যা মূত্র সংক্রমণ বা পেটে ব্যাথার জন্য দেওয়া হয়, সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক যেহেতু জলে মিশে গিয়েছে তাই অতটা প্রভাব নাও ফেলতে পারে। তবে আমি আগামিকাল রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছি। যেহেতু আমার একটা লিভার সমস্যা আছে, তাই চিকিৎসক চিন্তায় আছেন আমার লিভারে যেন এর প্রভাব না পড়ে। ব্লাড টেস্ট, লিভার টেস্ট করাব। সবাইকে বলব (যাঁরা ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন), কাছাকাছি কোথাও গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং নিজের খেয়াল রাখুন।”