Rudraprasad Sengupta On Shaoli Mitra : চোখের সামনে বড় হল, বড্ড দামি মানুষ ছিল: রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত

“ওকে সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি। চোখের সামনে বড় হল। ধীরে ধীরে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়ে উঠল। "

Rudraprasad Sengupta On Shaoli Mitra : চোখের সামনে বড় হল, বড্ড দামি মানুষ ছিল: রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2022 | 11:00 PM

“আহা!! ওকে তো শম্ভুদা তৃপ্তিদির বাড়িতে ছোট থেকে দেখেছি।” প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র। খবরটা শুনেই এমনই এক আক্ষেপের সুর রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর কন্ঠে। আজ, রবিবার নিজের বাসভবনে দুপুর ৩টে ৪০ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। বাবা শম্ভু মিত্রর মতো তাঁর ইচ্ছে ছিল সকলের অগোচরে যেন তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

শাঁওলি মিত্রর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ নাট্যজগৎ। বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর সঙ্গে টিভি নাইন বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে তাঁর কথায়, “ওকে সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি। চোখের সামনে বড় হল। ধীরে ধীরে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়ে উঠল। সব মিলিয়ে বড় দামী মানুষ ছিল আমাদের নাট্যজগতের, শিল্পজগতের। ওর চলে যাওয়াতে এই এক মহাশূন্যতা তৈরি হল। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারছি না। এত শকড।”

১৯৯৭ সালের ১৯ মে রাত দুটো বেজে ১৫ মিনিটে শম্ভু মিত্র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  ইচ্ছাপত্র-এ তিনি লিখেছিলেন, “মোট কথা আমি সামান্য মানুষ, জীবনের অনেক জিনিস এড়িয়ে চলেছি, তাই মরবার পরেও আমার দেহটা যেন তেমনই নীরবে, একটু ভদ্রতার সঙ্গে, সামান্য বেশে, বেশ একটু নির্লিপ্তির সঙ্গে গিয়ে পুড়ে যেতে পারে।” এই কারণে সৎকার সমাধা হওয়ার পূর্বে সংবাদমাধ্যমে শম্ভু মিত্রের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা হয়নি । তারপর শম্ভু মিত্রের ইচ্ছে অনুযায়ী সিরিটির শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে তাঁর নশ্বর দেহটি দাহ করে ফিরে এসে বাবার মৃত্যুসংবাদ জানিয়েছিলেন শাঁওলি।

বাবার মতোই মৃত্যুর আগে এক ইচ্ছাপত্র লিখে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা নাট্যব্যক্তিত্ব। হলও তেমনটাই।পরিবার সূত্রে খবর হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন পরিবারের প্রিয়জনেরা। তাঁর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে সিরিটি শ্মশানে এ দিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর। নিভৃতেই চলে গেলেন কিংবদন্তী।

আরও পড়ুন:Shaoli Mitra: বাবার মতোই নিভৃতে চলে যাওয়ার ‘ইচ্ছাপত্র’ লিখে মৃত্যু, প্রয়াত শাঁওলি মিত্র