Tarun Majumdar Death: ‘ভালোবাসার বাড়ি’ ছেড়ে ‘মেঘমুক্তি’ পরিচালক তরুণ মজুমদারের
Tarun Majumdar Death: প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার। 'ভালবাসার বাড়ি' ছেড়ে তিনি চললেন 'চাঁদের বাড়ি', যেখান থেকে আর ফেরা যায় না। রয়ে গেল তাঁর নানা কীর্তি।
‘ভালবাসার বাড়ি’ ছেড়ে অবশেষে ‘মেঘমুক্তি’… প্রয়াত বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। সোমবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভক্তদের উৎকণ্ঠা, প্রিয়জনদের হাসপাতালে রাত্রিযাপনের অবসান। পরিচালক আর নেই। ‘ভালবাসার বাড়ি’ ছেড়ে তিনি চললেন ‘চাঁদের বাড়ি’, যেখান থেকে আর ফেরা যায় না। রয়ে গেল তাঁর নানা কীর্তি। রয়ে গেলেন তাঁর অগণিত ভক্ত।
কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই। একই সঙ্গে দোসর হয়েছিল সেপ্টিসেমিয়াও। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। গঠন করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ডও। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেনও তিনি। সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ক্রমশ। ট্র্যাকিওস্টোমি হওয়ার কারণে কথা বলতে পারছিলেন না। তবু হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই লিখেছিলেন, ‘ছবি কিন্তু হবে’। সে ছবি আর হল না। রবিবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার আচমকাই অনতি ঘটতে থাকে। রাখা হয় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। সোমবার সকাল থেকেই মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। শরীরে বেড়ে যায় অ্যাসিডের মাত্রাও। বেলা গড়াতেই তিনি ছেড়ে চলে যান এই নশ্বর দুনিয়া।
জন্মেছিলেন অবিভক্ত বাংলার বোগরায়। বাবা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। শুধু পরিচালনাই নন মনেও ছিলেন তরুণ। তাঁর গল্প বলার ধরন ছিল আদ্যপান্ত সামাজিক। তাঁর পরিচালিত ‘গণদেবতা’ই প্রথম বাংলা ছবি যা জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল।
‘দাদার কীর্তি’ থেকে শুরু করে ‘নিমন্ত্রণ’, ‘বালিকা বধু’– তাঁর কাজ বারেবারেই সমৃদ্ধ করেছে বাংলা ছবির জগৎকে। প্রচারের আলোয় থাকা ছিল একেবারে অপছন্দ। ফিল্মি পার্টি থেকে টিভিতে বাইট- এড়িয়ে যেতেন সচেতন ভাবেই। তবু অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ দেখতে ছুটে এসেছিলেন অসুস্থ শরীর নিয়েও। তাঁর উপর তৈরি তথ্যচিত্রের প্রস্তুতি নিয়েও ছিলেন বড়ই উৎসাহিত। সেই মানুষটাই আর নেই। ইন্ডাস্ট্রি একা হয়ে গেল আরও একবার। তিনি চলে গেলেন দূরে…।