AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মুকেশ আম্বানি গোপনে কাজ সারলেন, ভাই অনিল বেবাক বোকা বনে গেল

মুকেশ আম্বানি আর অনিল আম্বানি। দুই ব্যবসায়ী ভাই। একজন ব্যবসার জগতে একের পর এক তীর মেরে সাফল্যের শিখরে। অন্যদিকে আরেক ভাই অনিল বড় ভাইয়ের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে।

মুকেশ আম্বানি গোপনে কাজ সারলেন, ভাই অনিল বেবাক বোকা বনে গেল
| Updated on: Apr 01, 2025 | 8:52 AM
Share

মুকেশ আম্বানি আর অনিল আম্বানি। দুই ব্যবসায়ী ভাই। একজন ব্যবসার জগতে একের পর এক তীর মেরে সাফল্যের শিখরে। অন্যদিকে আরেক ভাই অনিল বড় ভাইয়ের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। খুল্লমখুল্লা কিছু না দেখা গেলেও, আম্বানি পরিবারের এই দুই ভাইয়ের মধ্যে কিন্তু বিবাদ রয়েছে। মূলত, এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই। অন্তত, গুঞ্জনে তাই রয়েছে। নিন্দুকরা তো এই দুই ভাইকে দিওয়ার ছবির সেই জনপ্রিয় সংলাপের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন,যেখানে অমিতাভ বলছেন, মেরে পাস গাড়ি হ্যায়, বাংলো হ্যায়, রুপাইয়া হ্যায়… তুমহারে পাস কেয়া হ্য়ায়! উত্তরে শশী কাপুর বলছেন, মা হ্য়ায়… তবে এক্ষেত্রে মুকেশের গাড়ি, টাকা, অ্যান্টেলিয়া তো আছেই, অনিলের কাছে মা নয়, বরং আছে হিরোইন স্ত্রী টিনা মুনিম থুরি টিনা আম্বানি!

ফিল্মি সংলাপকে না হয় একপাশে সরিয়ে রাখা যাক। এই গপ্পোটা আম্বানি পরিবারের দুই ভাইয়ের ব্যবসা যুদ্ধ নয়। বরং টিনা মুনিম এবং অনিল আম্বানির বিয়ের গল্প। যে গল্পের আসল টুইস্টই ঘেঁটে দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি।

সেই সময় সিনেমার পর্দায় চুটিয়ে অভিনয় করছেন টিনা মুনিম। রাজেশ খান্না, সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে প্রেম করেও, তা টেকেনি। ঠিক ওই সময়ই টিনা ও অনিল আম্বানির মন দেওয়া-নেওয়া। তবে অনিল ও টিনার এই প্রেম ভাল চোখে দেখেননি আম্বানি পরিবার। তাঁদের আপত্তি একটাই, সিনেমার হিরোইনকে আম্বানি পরিবারের বউ বানানো যাবে না। অনিল তখন পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে চাননি। টিনা ও অনিলের দূরত্ব বাড়ে। মুম্বই ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেন টিনা। তবে যোগাযোগ থাকে। এভাবে কাটে ৪ বছর।

টিনাকে ছেড়ে দেওয়ার পর মনকষ্টে ভুগতে থাকেন অনিল। অনিলের এমন অবস্থা দেখে, শেষমেশ রাজি হন আম্বানি পরিবার। তবে পরিবারেরমেনে নেওয়াটাকে টিনার কাছে সারপ্রাইজই রাখতে চেয়েছিলেন অনিল। কিন্তু ভাইয়ের এমন প্ল্যানে জল ঢাললেন মুকেশ।

আম্বানির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন টিনা। বুকের মধ্যে ভয় নিয়েই বসে ছিলেন তাঁদের বৈঠক খানায়। হঠাৎই সেখানে এসে হাজির মুকেশ আম্বানি। ফস করে টিনাকে মুকেশ বলেন, কেমন লাগছে, পরশু তো তোমাদের আংটি বদল! ব্য়স, অনিলের পুরো প্ল্য়ানিংয়েই জল ঢেলে দিলেন মুকেশ। এই ঘটনার পর মুকেশের উপর কিছুটা হলেও রেগে গিয়েছিলেন অনিল। তবে পরে ব্যাপারটি নিয়ে বেশি জলঘোলা করেননি। শেষমেশ ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অনিল ও টিনা।