Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুচিত্রার স্বামীকে মারাত্মক অপমান করলেন উত্তম, এরপর মহানায়িকা যা করলেন তা আরও মারাত্মক

পর্দায় উত্তম-সুচিত্রার প্রেম অমর হয়ে রয়েছে। বাংলা সিনেমায় এমন জুটি আর তৈরি হয়নি। ফিল্মবোদ্ধারা মনে করেন, সেই সম্ভাবনাও ভবিষ্যতে কম। তবে পর্দার বাইরে উত্তম-সুচিত্রার মধ্যে যে ইগো সমস্যা ছিল, তা কিন্তু নানা বিনোদন ম্যাগাজিনের শিরোনামে জায়গা করে নিত সেই সময়।

সুচিত্রার স্বামীকে মারাত্মক অপমান করলেন উত্তম, এরপর মহানায়িকা যা করলেন তা আরও মারাত্মক
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2025 | 5:18 PM

পর্দায় উত্তম-সুচিত্রার প্রেম অমর হয়ে রয়েছে। বাংলা সিনেমায় এমন জুটি আর তৈরি হয়নি। ফিল্মবোদ্ধারা মনে করেন, সেই সম্ভাবনাও ভবিষ্যতে কম। তবে পর্দার বাইরে উত্তম-সুচিত্রার মধ্যে যে ইগো সমস্যা ছিল, তা কিন্তু সেই সময় নানা বিনোদন ম্যাগাজিনের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল। ঠিক যেমন ‘পথে হল দেরী’ ছবির শুটিং ফ্লোরের সেই ঘটনা, যার কারণে ছবির শুটিং বন্ধ ছিল দুমাস! এমনকী, সুচিত্রা ঠিকই করে ফেলেছিলেন ছবি ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন!

ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?

সালটা ১৯৫৬। কলকাতার বাইরে শুটিং চলছিল উত্তম-সুচিত্রার কালজয়ী ছবি ‘পথে হল দেরী’র। সেই শুটিং দেখতে সুচিত্রার সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী দিবানাথও। আর অন্যদিকে সেই শুটিংয়ে উত্তমের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ফটোগ্রাফার বন্ধু শম্ভুনাথ মুখোপাধ্য়ায়।

সুচিত্রা নাকি পছন্দই করতেন না, তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ ছবি তুলুক। সেই ভুলটাই করে ফেলেছিলেন উত্তমের বন্ধু শম্ভুনাথ। ব্যস, মহানায়িকা রেগে লাল। চিলচিৎকার ফ্লোর জুড়ে। এমনকী, উত্তমের সামনেই তাঁর বন্ধুকে যাচ্ছে তাই বলেছিলেন সুচিত্রা। মহানায়িকার কোপে পড়ে শম্ভুনাথ সব ছবি নষ্টও করে দেন।

সেই সময় এক জনপ্রিয় বিনোদন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তম নাকি বিষয়টা একেবারেই ভালভাবে নেননি। সুযোগ খুঁজছিলেন এর বদলা নেওয়ার। ব্যস, যেমন ভাবা, তেমনি আসল সুযোগ। আর সুযোগ করে দিলেন মহানায়িকার স্বামী। সুচিত্রার স্বামী দিবানাথ একটি ছোট্ট ভিডিও ক্য়ামেরা নিয়ে শুটিংয়ের নানা ছবি রেকর্ড করতেন। উত্তমের সেটা চোখে পড়তেই মুখ খুললেন। পরিচালক অগ্রদূতকে স্পষ্ট মহানায়ক বলেন, বাইরের লোক ফ্লোরে থাকলে শুটিং করব না। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দিবানাথ ঝটপট ফ্লোর ছেড়েছিলেন। উত্তমের এমন ব্যবহার সুচিত্রার মোটেই ভাল লাগেনি। রেগে লাল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

শোনা যায়, পরের দিনই কলকাতায় ফিরে আসেন মহানায়িকা। পরিচালককে জানিয়ে ছিলেন তিনি ছবিটি করবেন না। এই ঘটনার পর প্রায় দুমাস বন্ধ ছিল পথে হল দেরীর শুটিং। অবশেষে অনেক কষ্টে পরিচালক রাজি করালেন সুচিত্রাকে। ফের শুটিং শুরু হয় ছবির। পথে হল দেরী বক্স অফিসসহ মানুষের মন জয় করে।