দাদু অমরীশ পুরীর বায়োপিক বানাতে চলেছেন নাতি বর্ধান?
বর্ধান কেবল একজন অভিনেতা নন, একজন লেখক এবং তিনি তাঁর প্রথম ছবিটি সহ-রচনাও করেছিলেন।
তিনি বলিউড লিজেল্ড। চার দশকের উপর ছিল তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার। অভিনীত ফিল্মের সংখ্যা চারশোর উপরে। শুধু দেশের মাটিতে তাঁর নাম বিখ্যাত হয়নি, আন্তর্জাতিকভাবেও তিনি সমান বিখ্যাত। তিনি অমরীশ পুরী। একজন সাঁপুড়ের চরিত্রে অভিনয় থেকে কড়া পিতা। একজন জঘন্য ভিলেন থেকে ধূর্ত রাজনীতিবিদ। তার উপর সেই কণ্ঠস্বর। অমরীশ পুরী অভিনয় করেননি এমন কোনও জঁনরের ফিল্ম নেই তা হোক না কেন রোমান্স, কমেডি, অ্যাকশন কিংবা ড্রামা। ২০০৫ সালে তিনি পরলোক গমন করেছেন কিন্তু তাঁর কাজগুলো এখনও রয়েই গিয়েছে।
আরও পড়ুন সপরিবারে করোনা আক্রান্ত শ্রীমা, পাশে দাঁড়াল পাড়ার বন্ধুরা
২০১৯ অমরীশ পুরীর নাতি বর্ধান পুরী সিনে দুনিয়ার পদার্পন করেন। ছবির নাম ছিল ‘ইয়ে সালি আশিকী’। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, দাদুর অভিনীত এমন কোনও নির্দিষ্ট ছবি যা রিমেক হলে তিনি তাঁর অংশ হতে চাইবেন? উত্তরে বর্ধান একটি নয় একাধিক ছবির কথা বলেন। তিনি বলেন “আমি তাঁর শিল্পকর্মের অংশ হতে চাই, তিনি যে সমান্তরাল সিনেমা করেছিলেন,
View this post on Instagram
যেমন ‘সুরজ কা সাতভা ঘোড়া’, ‘বিজেতা’, ‘পার্টি’, ‘আক্রোশ’, ‘অর্ধ সত্য’, ‘মান্ডি’ এবং ‘মন্থন’। তাঁর মধ্যে কিছু অসামান্য কাজ তিনি করেছেন। যা বাণিজ্যিকভাবেও বেশ সফল। আমি ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘বিরাসত’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘নাগিনা’, ‘ঘাতক’, ‘গরদিশ’, ‘ঘায়েল’, ‘মেরি জঙ্গ’, ‘দামিনী’ এবং আমি কীভাবে ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য টেম্পল অফ দ্য ডুম’ ভুলতে পারি এবং ‘মুঝসে শাদি করোগি’। তাঁর এমন একটি বৈচিত্র্যময় ফিল্মোগ্রাফি ছিল যাতে তিনি কিছু অসামান্য কাজ করেছিলেন।”
তবে যখন মাত্র একটি ছবিকে বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়, বর্ধান জবাবে বলেন, “আমাকে যদি কোনও একটি বেছে নিতে হয় তবে এটি ‘ভিরাসত’ এবং ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র মধ্যে টাই হবে”
View this post on Instagram
বর্ধান কেবল একজন অভিনেতা নন, একজন লেখক এবং তিনি তাঁর প্রথম ছবিটি সহ-রচনাও করেছিলেন। যেহেতু তাঁর দাদুর বৈচিত্রময় ফিল্মোগ্রাফি ছিল এবং এমন এক আশ্চর্যজনক জীবনযাপন করেছিলেন, তাই তিনি কি তাঁর বায়োপিক লেখার বা অভিনয়ের পরিকল্পনা করছেন? “এক পর্যায়ে গুঞ্জন ছিল যে অনুরাগ বসু এবং রণবীর কাপুর আমার দাদুর বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আমি শুধু এ সম্পর্কে শুনেছিলাম এবং এটি সত্যি কিনা তা জানতাম না। তবে, আমার কাছে এটা নিয়ে একটি ফোন কল আসে। আমি তাঁর জীবন নিয়ে একটি ফিল্ম লেখার জন্য ভেবেছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে সে সম্পর্কে কথা বলেছি এবং তারা ভীষণ এক্সাইটেড। আমি আশা করি যে আমি সমান স্পিরিট নিয়ে কিংবদন্তির উপর একটি বায়োপিক তৈরি করব যে-ই স্পিরিট অমরীশ পুরীর মধ্যে ছিল।”